মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অফিস সহকারী প্রণব চন্দ্র দাসের ওপর হামলার ঘটনার ১৮ দিনেও গ্রেপ্তার হয়নি জড়িতরা। এতে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
তাঁদের অভিযোগ, মামলার প্রধান আসামি মাশরাফি আলম মাহী উপজেলার নিজবাহাদুরপুর ইউনিয়ন পরিষদের আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খায়রুল আলম নুনুর ছেলে। এ কারণে তাঁকে গ্রেপ্তার করছে না পুলিশ। তবে পুলিশ দাবি, ঘটনার পর হামলাকারীরা আত্মগোপনে রয়েছেন। তাঁদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ২৪ ফেব্রুয়ারি হাসপাতালে নিজবাহাদুরপুর ইউপির উত্তর চান্দগ্রামের মাশরাফি আলম মাহী ফাইজারের দ্বিতীয় ডোজ টিকা নিতে আসেন। এ সময় লাইন ছাড়াই বুথে প্রবেশে চেষ্টা করেন।
অফিস সহকারী প্রণব চন্দ্র তাঁকে লাইনে যেতে অনুরোধ জানান। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে প্রণব চন্দ্র দাসসহ সংশ্লিষ্টদের অকথ্য ভাষায় গালি দিয়ে চলে যান। পরে প্রণব চন্দ্র দাস হাসপাতালের নিচে গেলে মাশরাফি আলমসহ সাত থেকে আটজন তাঁকে ডেকে নিয়ে মারধর করে। এ সময় প্রত্যক্ষদর্শীরা প্রণব দাসকে উদ্ধার করেন। ঘটনার দিন প্রণব মাশরাফি আলম মাহীকে প্রধান ও সাত থেকে আটজনকে অজ্ঞাত আসামি করে থানায় মামলা করেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বড়লেখা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর হোসেন সরদার বলেন, ‘স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্মচারীর ওপর হামলাকারীদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।’