গিয়াস উদ্দিন সেলিমের ‘মনপুরা’ (২০০৯) বদলে দিয়েছিল চঞ্চল চৌধুরীর ক্যারিয়ারের গতিপথ। টিভি নাটক তো অবশ্যই, সিনেমা ও ওয়েব কনটেন্টের যে কাজগুলো দিয়ে দেশজুড়ে জনপ্রিয়তা পেয়েছেন চঞ্চল; তার ভিত্তি হিসেবে কাজ করেছে মনপুরা। সিনেমাটি মুক্তির এক যুগেরও বেশি সময় পেরিয়ে গেছে। এই দীর্ঘ সময়ে গিয়াস উদ্দিন সেলিমের আর কোনো সিনেমায় দেখা যায়নি চঞ্চলকে। এত বছর পর সেলিম-চঞ্চল আবারও যুগলবন্দী। আর তার উপলক্ষ পাপ-পুণ্য। চঞ্চলের সঙ্গে পাপ-পুণ্য নিয়ে কথা বলতে গিয়ে তাই ঘুরেফিরে এল মনপুরা প্রসঙ্গ।
চঞ্চল চৌধুরী বললেন, ‘সেলিম ভাইয়ের সঙ্গে শুরু থেকেই আমার কাজের কেমিস্ট্রিটা একদম ভিন্ন। মনপুরা করার ১৩ বছর পর তাঁর নতুন সিনেমায় অভিনয় করলাম। পাপ-পুণ্যর স্ক্রিপ্ট পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই সেলিম ভাইকে বলেছিলাম, মনপুরার পর এই গল্পটি বানিয়ে ফেলা উচিত ছিল। মনপুরার চেয়ে এটি অনেক ভালো।’
১৩ বছর তো আর কম সময় নয়! এই দীর্ঘ সময়ে বদলে গেছে বাংলা সিনেমার কনটেন্টের ধরন, বদলেছে দর্শকের রুচি। বাস্তবের মতো সিনেমার গল্পেও বয়স বেড়েছে চঞ্চলের। পাপ-পুণ্যতে তিনি দেখা দিলেন মাথাভরা সাদা চুল আর বেশি পাওয়ারের চশমায়। চঞ্চল চৌধুরী বলেন, ‘এবার সেলিম ভাই যে চরিত্রটি আমার জন্য লিখেছেন, খোরশেদ তার নাম। আমার বাস্তবের বয়সের চেয়ে এ চরিত্রের বয়স অনেক বেশি। এটা আমার জন্য চ্যালেঞ্জ ছিল। আসলে আমি শুরু থেকেই চেয়েছি ভিন্ন ভিন্ন চরিত্র করতে।’
পাপ-পুণ্য করতে গিয়ে চঞ্চলের আরও এক প্রাপ্তি যোগ হলো—আফসানা মিমির সঙ্গে অভিনয়। চঞ্চল যত দিনে অভিনেতা হিসেবে জনপ্রিয় হচ্ছেন, তত দিনে অভিনয় থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিচ্ছেন আফসানা মিমি। পাপ-পুণ্য দুজনকে এক সেটে বসে পাশাপাশি অভিনয়ের সুযোগ করে দিল। মনপুরার সেই গাজী কাকা মামুনুর রশীদকেও পেয়েছেন এ সিনেমায়। তাঁকে গুরু বলেই ডাকেন চঞ্চল। বলেন, ‘আমার জীবনে অভিনয়ের মাধ্যমে যদি কোনো অ্যাচিভমেন্ট এসে থাকে, সেটার জন্য আমি সর্বতভাবে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করি আমার গুরু মামুনুর রশীদের কাছে।’
এ পর্যন্ত দেশের আটটি সিনেমা হলে প্রদর্শনের জন্য চূড়ান্ত হয়েছে পাপ-পুণ্য। শুক্রবার পর্যন্ত সংখ্যাটি বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ইমপ্রেস টেলিফিল্ম। তবে সবচেয়ে বড় খবর, ২০ মে থেকেই কানাডা ও আমেরিকার ১১২টি থিয়েটারে দেখা যাবে পাপ-পুণ্য।