হোম > ছাপা সংস্করণ

নদের পাড়ে বিনোদনকেন্দ্র

আব্দুর রব, মৌলভীবাজার

মৌলভীবাজার পর্যটন এলাকা হলেও জেলা শহরে ছিল না কোনো বিনোদনকেন্দ্র। ফলে পর্যটক ও স্থানীয়রা বিনোদনের সুযোগ বঞ্চিত হতেন। সেই চাহিদা পূরণের প্রথম ধাপ হিসেবে শহরের কোল ঘেঁষে বয়ে যাওয়া মনু নদের শান্তিবাগ এলাকার পাড়টিতে বিনোদনকেন্দ্র নির্মাণের কাজ চলছে।

পৌরসভা সূত্রে জানা গেছে, মনু নদের তীরেই গড়ে উঠেছে এই জেলা শহরটি। শহরের উত্তর পাশ ছুঁয়েই মনু নদ ভাটির দিকে চলে গেছে। এক সময় এ নদের পাড় ধরেই মানুষ চলাচল করত। কিন্তু অনেক দিন ধরে পাড়টি সংস্কার না হওয়ায় ঝোপঝাড় তৈরি হয়েছে। অনেকটা পরিত্যক্ত অবস্থাতেই ছিল। শহুরে জীবনযাপনের এক ঘেঁষে, ক্লান্তির অবসাদ থেকে মুক্তি পেতে এই স্থানটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে এমন আশা তাঁদের।

সরেজমিন দেখা যায়, মনু সেতু থেকে ডাকঘর এলাকা পর্যন্ত বিনোদন কেন্দ্রের নির্মাণকাজ চলছে। পাড়ের ওপরে রাস্তা নির্মাণ করা হচ্ছে সঙ্গে গাইডওয়াল। চলছে ক্যানটিন নির্মাণসহ অন্যান্য কাজও।

শহরের বাসিন্দা উদ্যোক্তা নাসির উদ্দীন আহমেদ উজ্জ্বল বলেন, এই বিনোদনকেন্দ্র নির্মাণকাজ শেষ হলে শহরের চিত্র বদলে যাবে। শহরে বিনোদন কেন্দ্রের অভাব পূর্ণ হবে। পাশাপাশি পর্যটকেরা শহরমুখী হবে।

বাচ্চাদের নিয়ে শহরে কোথাও যাওয়ার জায়গা নেই। এটির কাজ শেষ হলে শিশুসহ সবার ভালো সময় কাটানোর জায়গা হবে জানান শহরের আরেক বাসিন্দা তাজকিয়া হোসেন।

পৌর কর্তৃপক্ষ জানায়, শহরের শান্তিবাগ এলাকায় ‘মনু নদের পাড়ে সড়ক, শিশুপার্ক, হাঁটাপথ ও সৌন্দর্যকরণ’ প্রকল্পের কাজ শুরু করা হয়েছে। এই প্রকল্পে চাঁদনীঘাট মনু সেতু থেকে ডাকঘর পর্যন্ত ৮০০ মিটার আরসিসি ঢালাই সড়ক পথ নির্মাণ করা হবে। সড়কের দুপাশে থাকবে হাঁটার পথ। একটি ক্যানটিন, নারী ও পুরুষের জন্য পৃথক দুটি শৌচাগারও থাকবে। নদের পাড়ের সৌন্দর্য বাড়াতে ফুল ও নানা জাতের স্থানীয় গাছ লাগানো হবে। প্রকল্পে ব্যয় হবে ১০ কোটি ১১ লাখ ১৬ হাজার ২৮৫ টাকা।

পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী সৈয়দ নকীবুর রহমান জানান, ‘প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে সড়কের গাইডওয়াল তৈরি হয়েছে। সড়ক ঢালাইয়ের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। পাইলিংয়ের কাজ শুরু হবে শিগগিরই। আগামী বছর জুনের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ হবে।’

পৌর মেয়র মো. ফজলুর রহমান বলেন, ‘আমি শহরের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের কাজ করেছি। তারই অংশ হিসেবে শান্তিবাগ এলাকায় বিনোদন কেন্দ্র নির্মাণের কাজ চলছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে শহরের সৌন্দর্য যেমন বাড়বে। তেমনি মানুষ কিছুটা সময় নদীর পাড়ে বসে, আড্ডা দিয়ে তাদের সময় ভালো করে কাটাতে পারবে। এ ছাড়া পর্যটকেরা এ সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবে।’

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ