হোম > ছাপা সংস্করণ

সাইনবোর্ডে এলাকার নাম ভুল, ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা

কুলাউড়া (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি

মৌলভীবাজারের কুলাউড়া-রবিরবাজার-টিলাগাঁও সড়কের বিভিন্ন স্থানে এলাকার নাম ভুল করে সাইনবোর্ড (পরিচয়জ্ঞাপক ও দিকনির্দেশনা) সাঁটানো হয়েছে। এলাকার নাম ও বানান ভুলের বিষয়টি ধরা পড়ার পর সেটি নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দা ও সচেতন মহল ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। তবে এমন ভুলের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অবহেলা ও গাফিলতিকে দায়ী করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। দ্রুত ভুল সংশোধনের দাবি তাঁদের।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বিষয়টি নিয়ে টোল ও সমালোচনাও হচ্ছে। সমালোচনার পরিপ্রেক্ষিতে সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ) সাইনবোর্ডের ওপর অস্থায়ীভাবে স্টিকার সেঁটে দিয়েছে।

স্থানীয় ও সওজ কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, কুলাউড়া ঐতিহ্যবাহী একটি উপজেলা। সাইনবোর্ডে ‘কুলাউড়া’র পরিবর্তে লেখা হয়েছে ‘কুলাউরা’। এখানেই শেষ নয়। সওজের সাইনবোর্ডে ‘রাউৎগাঁও’র স্থলে ‘রাইতগাঁও’, ‘পুরসাই’র স্থলে ‘কুসাই’, ‘মুদিপুর’র স্থলে ‘মদিপুর’ ও ‘মুড়ইছড়া’ লেখা হয়েছে। এ সড়কে বিভিন্ন পয়েন্টে এলাকার দূরত্ব ও পরিচয়সংবলিত ২৫০টি সাইনবোর্ড স্থাপনের কাজ করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ওয়াহিদ কনস্ট্রাকশনের অধীনে শামীম এন্টারপ্রাইজ।

জানা গেছে, সড়ক নির্মাণ শেষে বিভিন্ন পয়েন্টে এলাকার নাম ও দূরত্বসংবলিত সাইনবোর্ড লেখা হয়। আর সাইনবোর্ডে লেখা নাম সঠিক কি না তা যাচাই করে সওজ মৌলভীবাজারের জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী, উপবিভাগীয় প্রকৌশলী ও উপসহকারী প্রকৌশলী। কিন্তু কুলাউড়া-রবিরবাজার সড়কে স্থাপন করা সাইনবোর্ডগুলোতে নাম যাচাইয়ে ব্যত্যয় ঘটে।

স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, কর্তৃপক্ষের অবহেলা ও গাফিলতির কারণে সাইনবোর্ডে বানান ভুল থেকে গেছে। স্থানীয় বাসিন্দা ফখরুউদ্দিন বলেন, ‘দিনদশেক আগে কুলাউড়া-রবিরবাজার সড়কে নতুন লাগানো সাইনবোর্ডে কয়েকটি এলাকার নাম দেখে আমরা বিস্মিত। এলাকার নাম কীভাবে বদলে গেল তা আমাদের ধারণার বাইরে। এ ঘটনায় অনেকে ক্ষুব্ধ হয়ে সাইনবোর্ডে কাদা দিয়ে তা ঢেকে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন।’

পৃথিমপাশা ইউনিয়নের পুরসাই গ্রামের বাসিন্দা চৌধুরী আবু সাঈদ ফুয়াদ বলেন, ‘আমাদের গ্রামের নাম পুরসাই না লিখে কুসাই লেখা হয়েছে। এ যেন সওজ আমাদের নিয়ে ব্যঙ্গ-বিদ্রূপ করল। বিষয়টি সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীকে ১০ দিন আগে জানানো হয়। কিন্তু তারা তা সংশোধন না করে অস্থায়ীভাবে স্টিকার সেঁটে দিয়েছে।’

লংলা আধুনিক ডিগ্রি কলেজের ইতিহাস বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. মাজহারুল ইসলাম বলেন, ‘এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এলাকার নাম ভুল করে সাইনবোর্ড টানানোয় জনমনে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে।’

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ওয়াহিদ কনস্ট্রাকশনের সাইড ইঞ্জিনিয়ার মো. জহিরুল ইসলাম বলেন, ‘ভাষাগত ও প্রিন্টিং সমস্যার কারণে এই ভুল হয়েছে। আমরা দ্রুত সংশোধন করে দেব।’

সড়ক ও জনপথ বিভাগের (কুলাউড়া) কার্যালয়ের উপসহকারী প্রকৌশলী সুভাষ পুরকায়স্থ বলেন, ‘কয়েকটি এলাকার নামে ভুল হয়েছে। সংশোধনের জন্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কয়েক দিন সময় নিয়েছে।’

এ ব্যাপারে সড়ক ও জনপথ বিভাগের মৌলভীবাজারের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জিয়া উদ্দিন বলেন, ‘কাজটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের লোকজন করেছে। আমরা স্থানীয় এলাকার নামের বানানের বিষয়ে তেমনটা পরিচিত নই। এটা অনাকাঙ্ক্ষিত ভুল। আমরা ভুল নামের সাইনবোর্ডগুলো খুব দ্রুত সংশোধনের ব্যবস্থা নিচ্ছি।’

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ টি এম ফরহাদ চৌধুরী বলেন, ‘বিষয়টি অনেকেই আমাকে জানিয়েছেন। এটা খুবই দুঃখজনক। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে সংশোধনের উদ্যোগ নেওয়া হবে।’

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ