ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে চরসোনারামপুর গ্রামের দূরত্ব মাত্র ১ কিলোমিটার। কেন্দ্রের এত কাছে থেকেও বিদ্যুৎ না পাওয়ার আক্ষেপ চরসোনারামপুরবাসীর। বিদ্যুৎ আসছে-আসবে; এই করে বছরের পর বছর কেটে গেছে। কিন্তু বিদ্যুতের দেখা পাননি চরবাসী। এর মাঝেই মেঘনা নদীর বুকে জেগে ওঠা চরসোনারামপুরকে অন্ধকারে নিমজ্জিত রেখে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জকে শতভাগ বিদ্যুতায়িত উপজেলা ঘোষণা করে বিদ্যুৎ বিভাগ।
তবে এবার বিদ্যুতের আলোয় আলোকিত হওয়ার অপেক্ষার প্রহর শেষ হতে যাচ্ছে চরসোনারামপুরবাসীর।
বিদ্যুৎ বিভাগের দেওয়া তথ্য মতে, আশুগঞ্জ উপজেলা সদরের মেঘনা নদীর বিওসি ঘাট থেকে নদীর তলদেশ দিয়ে ১১ হাজার ভোল্ট সাবমেরিন পাওয়ার কেব্ল এইচডিডি পদ্ধতিতে স্থাপন করা হবে। এ কাজের জন্য গত ৩০ জানুয়ারি বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের সঙ্গে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ড্রিলটেক ইন্টারন্যাশনালের চুক্তি হয়েছে। পুরো কাজের জন্য ব্যয় হবে প্রায় ১১ কোটি টাকা। স্বাস্থ্য সেবা ও শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ পেলেও বিদ্যুতের জন্য সব সময়ই হাহাকার ছিল চরবাসীর।
সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী দু-তিন দিনের মধ্যেই আনুষ্ঠানিকভাবে সাবমেরিন পাওয়ার কেব্ল স্থাপনের কাজ শুরু হবে বলে জানা গেছে।
আশুগঞ্জ সদর ইউনিয়নে পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মো. সফিকুল ইসলাম জানান বিদ্যুতের জন্য চরবাসী অনেক কষ্ট করেছে। তবে এবার তাদের দীর্ঘদিনের কষ্ট লাগব হবে।
চরে বিদ্যুৎ প্রদান প্রকল্পে দায়িত্বে নিয়োজিত সহকারী প্রকৌশলী মো. জাফর আহমেদ বলেন, সাবমেরিন কেব্লসহ মালামাল আসতে শুরু করেছে।
ড্রিলটেক ইন্টারন্যাশনাল এর প্রকৌশলী মো. মাসুদ রানা বলেন, দরপত্রের চুক্তি মোতাবেক আগামী মে মাসের (১২০ দিন) মধ্যে চরে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার কথা থাকলেও আগামী এক মাসের মধ্যে-ই চরে বিদ্যুৎ-সংযোগ দেওয়া সম্ভব হবে।
বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের আশুগঞ্জ বিতরণ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সুলতান মাহমুদ বলেন, আশা করছি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সাবমেরিন পাওয়ার কেব্ল স্থাপনের কাজ নির্ধারিত সময়েই শেষ হবে। শেষ হওয়ার পরপরই চরে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া শুরু হবে’।