গৌরীপুরে প্রতীক বরাদ্দের দিনেই আচরণবিধি ভেঙে বিশাল মিছিল ও শোভাযাত্রা করেছেন প্রার্থীরা। গত মঙ্গলবার চেয়ারম্যান, সংরক্ষিত মহিলা ও সাধারণ সদস্য প্রার্থীদের বিশাল বিশাল মহড়ায় সারা দিন সরগরম ছিল গৌরীপুর পৌর শহর। এতে চরম ভোগান্তির শিকার হয়েছেন সাধারণ মানুষ। দীর্ঘ যানজটে অচল হয়ে পড়ে শহরের প্রধান সড়ক ও অলিগলি। কোথাও ছিল না স্বাস্থ্যবিধির বালাই।
সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার কার্যালয়, প্রাণী সম্পদ কার্যালয়, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয়, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তার কার্যালয় ও নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়। প্রতীক পাওয়া ও নেওয়ার মুহূর্তে প্রত্যেকটি এলাকায় ছিল ভেঁপু, বাজি ও ভুভুজেলা বাঁশির বিকট শব্দ। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি থাকা এক রোগীর পিতা জানান, কন্যাকে নিয়ে তিনি হাসপাতালে আছেন। স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে একাধিকবার বলার পরও উচ্চশব্দ নিয়ন্ত্রণে কোনো ব্যবস্থা নেননি তাঁরা।
এদিকে উপজেলা পরিষদের সামনেই বসে ভুভুজেলা বাঁশির অস্থায়ী মেলা। হাজার হাজার সমর্থকদের হাতে এ বাঁশির বিকট শব্দে শহরজুড়ে সাধারণ মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে পড়েন। গৌরীপুর পৌরসভার মেয়র সৈয়দ রফিকুল ইসলাম তাঁর ফেসবুক অ্যাকাউন্টে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি ও অসহনীয় শব্দদূষণের বিষয়টি তুলে ধরেন। তিনি বলেন, প্রশাসন, নির্বাচন কমিশনের আচরণবিধি লক্ষ্য রাখা প্রয়োজন।
এদিকে শহরবাসীকে উচ্চশব্দ দূষণ থেকে বাঁচাতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ইউএনও হাসান মারুফের নেতৃত্বে শহরে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালায়। এ সময় বিভিন্ন মিছিল থেকে দুই শতাধিক বাঁশি জব্দ করা হয়। ইউএনও হাসান মারুফ জানান, একজন প্রার্থীকে তিন হাজার টাকা জরিমানা এবং আরেক জনকে শোকজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।