প্রশ্ন: নেপালের প্রথম নারী ফুটবলার হিসেবে ইউরোপের কোন ক্লাবে খেলতে যাচ্ছেন?
সাবিত্রা ভান্ডারি: হাফোয়েল রানানা এফসি। ইসরায়েলের দ্বিতীয় বিভাগের দল। নেপালের প্রথম নারী ফুটবলার হিসেবে ইউরোপিয়ান লিগে খেলতে যাচ্ছি।
প্রশ্ন: যদি দক্ষিণ এশিয়া থেকে পাঁচ নারী ফুটবলারের নাম আপনার কাছে জানতে চাওয়া হয়, যাঁরা ইউরোপিয়ান লিগে খেলতে পারেন, আপনি কার কার নাম বলবেন?
সাবিত্রা: প্রথমে বলব মারিয়ার নাম, সে অসাধারণ। অনেক গতিসম্পন্ন। মারিয়ার ফুটবল মানসিকতা দারুণ। দুইয়ে থাকবে সাবিনা। এরপর যেতে হবে ভারতে, সিল্কি দেবি ও দিপা সাই থাকবে এই তালিকায়। নেপাল থেকে বলব সারু লিম্বোর কথা। প্রীতি রায়ও ভালো।
প্রশ্ন: সাফে বাংলাদেশের কাছে শিরোপা হারানোর পর কতটা হতাশ ছিলেন?
সাবিত্রা: আমাদের ফুটবল ইতিহাসে আমরা সেদিন প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের কাছে হেরেছিলাম। হারটা আসলেই আমাদের জন্য বেশ কষ্টের ছিল। হার বা জিত—এটা খেলারই অংশ। শিরোপার জন্য বাংলাদেশের মেয়েরা ভীষণ ক্ষুধার্ত ছিল। বাংলাদেশের এই শিরোপাটা প্রাপ্য ছিল। আমরাও যোগ্য ছিলাম। কিন্তু আমার জ্বর এসে গেল। আমরা ভালো খেলতে পারিনি। আমাদের দলে অনেক নতুন খেলোয়াড় ছিল, কিন্তু ওরা বাংলাদেশের মেয়েদের মতো খেলাটা খেলতে পারেনি। আমাদের নিজেদের মাঠ, নিজেদের দর্শক কিন্তু শিরোপাটাই পেলাম না। সাফ ফাইনালের হারটা আমাদের জন্য ভীষণ যন্ত্রণার ছিল।
প্রশ্ন: আপনি ৯০ মিনিট পুরোটা খেলতে পারলে সত্যিই কি ম্যাচের ফল ভিন্ন কিছু হতে পারত?
সাবিত্রা: আমার মোটেও তা মনে হয় না। দলের বাকিদের ওপর আমাদের বিশ্বাস ছিল। জ্বর থাকার কারণে কোচ আমাকে ফাইনালের শুরুর একাদশে রাখেননি। সে কারণে আমিও ভালো খেলতে পারিনি।
প্রশ্ন: বাংলাদেশ সম্পর্কে আপনার বেশ ধারণা। গত কয়েক বছরে বাংলাদেশ দলের পরিবর্তনটা কোথায়?
সাবিত্রা: বাংলাদেশের অনেক তরুণ খেলোয়াড় আছে। সাফের আগে তারা ৮-৯ মাস টানা অনুশীলনের ভেতর ছিল, যেটা আমরা পারিনি। আমরা সব মিলিয়ে ৪২ দিনের মতো অনুশীলন করেছি। বাংলাদেশ দলে এখন বেশ কজন অভিজ্ঞ ফুটবলার আছে। অথচ আমাদের দলে মাত্র তিনজন অভিজ্ঞ ফুটবলার। ধীরে ধীরে আমাদের দলেও নতুনেরা সুযোগ পাচ্ছে। এরাও একসময় নিজেদের প্রমাণ করবে।