চাটখিলে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের চড়া দামের কারণে দিশেহারা ক্রেতাসাধারণ। এক বছরের ব্যবধানে পণ্যভেদে ৬০ শতাংশ পর্যন্ত দাম বেড়েছে।
একাধিক বাজার ঘুরে দেখা যায়, পাইকারি বাজারে আটাশ ৪৭ থেকে ৫০, নাজির ৬২ থেকে ৬৮, স্বর্ণা ৪৬ এবং মিনিকেট ৫৮ থেকে ৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। আর খুচরা বাজারে আটাশ ৫০ থেকে ৫৫, স্বর্ণা ৪৮, নাজিরশাইল ৭০ থেকে ৭৩ এবং মিনিকেট ৬২ থেকে ৬৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। মাঝারি মানের চাল ৪৩ থেকে ৪৭ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
এক বছর আগে এ চালের দাম ছিল ৪৮ থেকে ৫৫ টাকা কেজি। এ ছাড়া বর্তমানে মোটা চাল বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকা কেজিতে। এক বছর আগেও এসব চালের দাম ছিল ৪২ থেকে ৪৮ টাকা। বর্তমানে আটা ৩৫ থেকে ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া পেঁয়াজ ৫৫ থেকে ৬০ টাকা এবং চিনি বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকায়। ভোক্তা অধিকার নিয়ন্ত্রণে কোনো পদক্ষেপ নিতে পারেনি সরকার।
নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের উচ্চমূল্য নিয়ে পৌরসভার দশানী টবগা গ্রামের মো. বাহার উদ্দিন, ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য দেলোয়ার হোসেন, নারায়ণপুর গ্রামের হুমায়ন কবির, চাটখিলের খোরশেদ আলম, পৌর বাজারের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী মো. রাসেল ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তাঁরা বলেন, ‘এভাবে চলতে থাকলে আমাদের মতো সাধারণ মানুষকে না খেয়ে মরতে হবে।’
এদিকে বাজার তদারকিতে ব্যবসায়ীদের কাছে অসহায় হয়ে পড়েছে তদারকির দায়িত্বে থাকা সংস্থাগুলো। এক দল ব্যবসায়ী নিজেদের স্বার্থ রক্ষায় সিন্ডিকেট তৈরি করেন। ব্যবসায়ীদের অসাধু সিন্ডিকেটের কারণে এ দেশের জনসাধারণ নিত্যপণ্য কিনতে বাড়তি টাকা গুনতে বাধ্য হচ্ছেন। বিভিন্ন পণ্যের জন্য ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট রয়েছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবু সালেহ মোহাম্মদ মোসা জানান, এ ধরনের অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালাচ্ছে। এরপরও এ ধরনের অভিযোগ পাওয়া গেলে তাৎক্ষণিক কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।