ঈদ মানে খুশি, আনন্দ। আর মাত্র তিন দিন পরেই উদ্যাপন করা হবে পবিত্র ঈদুল আজহা। কিন্তু এবারের ঈদে সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার বানভাসি মানুষের মনে আনন্দ নেই।
জগন্নাথপুর পৌরসভার হাজী আব্দুর রশীদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আশ্রয়কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, কয়েক দিনের বৃষ্টি শেষে রোদের দেখা পেয়ে বন্যার পানিতে ভিজে যাওয়া পুরোনো কাপড় বিদ্যালয়ের ছাদে শুকাতে দিচ্ছেন দুই নারী। জয়ধন বিবি নামের এক নারী ভেজা একটি সুটকেস থেকে পুরোনো কাপড়চোপড় বের করছেন।
ঈদের প্রস্তুতির বিষয়ে জানতে চাইলে জয়ধন বিবি বলেন, ‘নতুন কাপড় তো দূরের কথা, পুরান সবই গেছে নষ্ট অইয়া। সর্বনাশা বন্যায় এই ঈদ ভাসিয়ে নিয়ে গেছে।’
তিনি বলেন, ‘৪ ছেলে ১ মেয়েকে নিয়ে কোনোমতে খেয়ে না খেয়ে বেঁচে আছি। ঈদে তো আর বাড়ি যাওয়া হবে না। নতুন কাপড় পাব কই?’
খালেদা বেগম নামের আরেক নারী বলেন, ‘ছোট ছোট ছেলে-মেয়ে তো আর এত সব বুঝে না। তাদের তো ঈদের জামা লাগবেই। সে জন্য গত ঈদের জামা রোদে শুকাচ্ছি। এগুলো দিয়েই যদি মানানো যায়!’
গত ১৬ জুন এই উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতি দেখা দেয়। এরপর থেকে পানিবন্দী হয়ে পড়েন চার লক্ষাধিক মানুষ। বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্র আশ্রয় নেয় লক্ষাধিক পরিবার।
ইউএনও সাজেদুল ইসলাম বলেন, ‘উপজেলায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে ভেঙে যাওয়া ঘর-বাড়ির তালিকা করেছি।’