কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে মাঠ ছেয়ে গেছে সরিষা ফুলের হলুদ রঙে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এই বছর উপজেলার বিস্তীর্ণ জমিতে সরিষা চাষ করা হয়েছে। এতে লাভবান হওয়ার আশা করছেন কৃষকেরা।
ভূরুঙ্গামারী কৃষি কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর উপজেলার ২ হাজার ৪৫ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। এর মধ্যে ২ হাজার ২০ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ করা হয়েছে।
উপজেলার আন্ধারীঝাড় ইউনিয়নের ধাউরারকুটি গ্রামের রেজাউল করিম বলেন, চার বিঘা জমিতে সরিষা চাষ করেছি। প্রতি বিঘা জমিতে সরিষা চাষ করতে আড়াই থেকে তিন হাজার টাকা খরচ হয়। ফলন ভালো হলে এক বিঘা জমিতে পাঁচ থেকে ছয় মণ সরিষা হয়।
একই গ্রামের রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘জলাবদ্ধতায় আমন ধানের খেত নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। ওই জমিতে সরিষা চাষ করেছি। প্রতি মণ সরিষা ১ হাজার ৮০০ থেকে ২ হাজার টাকা দামে বিক্রি করা যায়। বাজার মূল্য স্থির থাকলে আমনের ক্ষতি উঠে আসবে।’
ওই ইউনিয়নের গোরস্থান মোড় এলাকার বাচ্চু মিয়া বলেন, ‘দুই বিঘা জমিতে সরিষা চাষ করেছি। কৃষি অফিস থেকে বীজ ও সার দিয়েছে। ফলন ভালো হয়েছে। আশা করছি প্রতি বিঘায় চার থেকে পাঁচ মণ সরিষা পাব।’
ভূরুঙ্গামারী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান বলেন, ‘সরিষা চাষে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করতে কৃষি বিভাগ থেকে বীজ ও সার বিতরণসহ পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। অনুকূল আবহাওয়ায় ফলন ভালো হয়েছে। এতে দুই ফসলি জমিতে তিন ফসল হচ্ছে। এ ছাড়া সরিষা চাষ হওয়ায় মধু চাষিরা উপকৃত হচ্ছেন।’