নাটোরের লালপুরে বিধবা ভাতার কার্ড দেওয়ার কথা বলে ভিক্ষুকের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে এক ইউনিয়ন পরিষদ সদস্যের বিরুদ্ধে। উপজেলার আড়বাব ইউনিয়নের ঢুষপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
গতকাল বুধবার ঢুষপাড়া গ্রামের ভিক্ষুক রাবেয়া খাতুন বলেন, তাঁর স্বামী মারা গেছে ২৫ বছর আগে। স্বামীর মৃত্যুর ২৫ বছর পর অনেক কষ্টে ভিক্ষার টাকা গুছিয়ে মেম্বার কফিল উদ্দিনকে সাড়ে ৪ হাজার টাকা দেন। এর পরও বিধবা ভাতার কার্ড পাননি তিনি।
একই গ্রামের মর্জিনা খাতুন বলেন, কফিল মেম্বার বিধবা ভাতা কার্ড করে দেওয়ার কথা বলে তাঁর কাছ থেকে ৩ হাজার টাকা নিয়েছেন। কিন্তু কার্ড করে দিচ্ছেন না।
এ ছাড়া বয়স্ক ও বিধবা ভাতা কার্ড করে দেওয়ার কথা বলে ওই গ্রামের মনোয়ারা খাতুন ও আলতানী বানুসহ অনেকের কাছ থেকে ৩ হাজার করে টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে আড়বাব ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য কফিল উদ্দিনের বিরুদ্ধে।
ভুক্তভোগীরা বলেন, এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন তাঁরা।
ইউপি সদস্য কফিল উদ্দিন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ষড়যন্ত্রমূলকভাবে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের যোগসাজশে এসব করা হচ্ছে।
ইউএনও উম্মুল বানীন দ্যুতি অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবেন বলে জানিয়েছেন।