মৌসুমের শুরুতে টানা বৃষ্টির কারণে আলুসহ বিভিন্ন ফলন নষ্ট হওয়ায় মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে অল্প সময়ে ক্ষতি পুষিয়ে নিতে ধনেপাতা চাষ করেছেন অনেক কৃষক। উপজেলার বালুচর ইউনিয়নের খাসকান্দী, চরপানিয়া, চান্দেরচর গ্রামে এবার বৃদ্ধি পেয়েছে ধনেপাতা চাষ। কৃষকেরা কাকডাকা ভোরে জমিতে গাছের পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। এ ছাড়া অনেক কৃষক পাতা উঠিয়ে বিক্রির জন্য প্রস্তুত করছেন।
গত সোমবার সরেজমিন দেখা যায়, উপজেলার বালুচর ইউনিয়নের চান্দেরচর গ্রামে ধনেপাতা গাছের পরিচর্যা করছেন কৃষক। কেউবা গাছের চারপাশের আগাছা পরিষ্কার করছেন। এ ছাড়া ধনেপাতা বিক্রির জন্য জমি থেকে উঠিয়ে টুকরিতে মজুত করছেন অনেকে।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, ‘চলতি মৌসুমে উপজেলায় এবার প্রায় ২০ হেক্টর জমিতে ধনেপাতা চাষ করা হয়েছে, যা এখন বাজারে উঠতে শুরু করেছে।
চান্দেরচর গ্রামের কৃষক মো. তোফাজ্জল বলেন, ‘মৌসুমের শুরুতে এই জমিতে আলু রোপণ করেছিলাম। টানা বৃষ্টিতে আলু নষ্ট হয়ে যাওয়ার পর ১৭৫ শতাংশ জমিতে ধনেপাতা চাষ করেছি। এতে আমার প্রায় ৫০ হাজার টাকার মতো খরচ হয়েছে। মাত্র বিক্রি শুরু করেছি। এখন ৫০০ টাকা মণ দরে বিক্রি হচ্ছে। ৭০ শতাংশ জমির ধনেপাতা বিক্রি করেছি প্রায় ২০ হাজার টাকার মতো। এখনো আরও ১০৫ শতাংশ জমি রয়েছে। তবে দাম ভালো পেলে লাভের আশা দেখছি।’
আরেক কৃষক মো. আলী শেখ বলেন, ‘এবার ধনেপাতা চাষ খুব ভালো হয়েছে। আমরা বাজারজাত করার জন্য পাতা উঠিয়ে টুকরিতে রাখছি। এবার পাতার দাম মোটামুটি ভালো আছে।’
বালুচর ইউনিয়নের খাসকন্দি ব্লকের উপকৃষি কর্মকর্তা তামান্না ইয়াসমীন জানান, এবার মৌসুমের শুরুতে টানা বৃষ্টিতে ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তাই কিছু ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার জন্যই কৃষক ধনেপাতা চাষ করেছেন। এবার গতবারের চেয়ে বেশি আবাদ হয়েছে। ধনেপাতা চাষে লাভবান হওয়া যায়। প্রত্যেক বছর আগাম জাতের বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষ করা হয় এই এলাকায়। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। খাসকান্দী, চরপানিয়া, চান্দেরচর গ্রামে ধনেপাতা চাষ করে লাভবান হচ্ছেন অনেক কৃষক।