পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় শারদীয় দুর্গাপূজার জন্য প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন মৃৎশিল্পীরা। ইতিমধ্যে শিল্পীদের দক্ষ হাতের ছোঁয়ায় পূর্ণরূপে ফুটে উঠেছে দৃষ্টিনন্দন অধিকাংশ প্রতিমা। এবার উপজেলার ১৭টি পূজামণ্ডপে প্রতিমা তৈরি করা হচ্ছে বলে জানা গেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, আগামী ১১ অক্টোবর পঞ্চমী তিথিতে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজার মূল আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে। প্রতি বছরের মতো এবারও ধর্মীয় প্রথা অনুযায়ী ১১ অক্টোবর থেকে শারদীয় দুর্গোৎসবের আয়োজন শুরু হবে। এ ছাড়া করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে মহামারি আকার ধারণ করায় সরকারিভাবে সামাজিক দূরত্ব বজায় ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত আকারে শারদীয় দুর্গোৎসব পালনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
চিংগড়িয়ায় কর্মরত মৃৎশিল্পী গোবিন্দ সাহা বলেন, ‘দেবীদুর্গা আসছেন অন্ধকার আচ্ছন্ন পৃথিবীকে আলোকিত করতে। ঢাক, ঢোল, শঙ্খধ্বনি আর উলুধ্বনি দিয়ে দেবীদুর্গাকে বরণ করে নেওয়ার অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন ভক্তরা। নিজেদের মনের মতো করে প্রতিমার নকশায় নিজেকে সেরা শিল্পী হিসেবে তুলে ধরতে দিন-রাত পরিশ্রম করে ব্যস্ত সময় পার করছি আমরা।’
পাখিমাড়া গৌড় গোবিন্দ মন্দির এলাকার ভক্ত সুবিমল সরকার আজকের পত্রিকাকে জানান, প্রতিবছর এখানে উৎসাহ উদ্দিপনার মধ্যে শারদীয় দুর্গাপূজা হয়। বিভিন্ন এলাকা থেকে ভক্তরা এখানে পূজা উদ্যাপনে আসেন। এবারও প্রতিমা তৈরির কাজ পুরোদমে চলছে।
কলাপাড়া পৌর শহর চিংগুড়িয়া সর্বজনীন শ্রী শ্রী দুর্গামন্দির কমিটির সাধারণ সম্পাদক সুখরঞ্জন তালুকদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে পূজা উদ্যাপন করতে প্রস্তুতি নিচ্ছি। করোনা মহামারি থেকে পরিত্রাণ পেতে মা দুর্গার কাছে প্রার্থনাসহ সমাজের সব ধরনের সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পেতে মা দুর্গার কাছে প্রার্থনা করা হবে। ইতিমধ্যেই সুন্দরভাবে পূজা উদ্যাপন করার লক্ষ্যে এলাকার যুবকদের নিয়ে আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে।’
কলাপাড়া উপজেলা পূজা উদ্যাপন কমিটির সভাপতি ও পৌর মেয়র বিপুল চন্দ্র হাওলাদার বলেন, ‘এ বছর কলাপাড়া উপজেলায় ১৭টি পূজামণ্ডপে দুর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হবে। এ উপলক্ষে পূজা উদ্যাপন কমিটির সদস্যদের সঙ্গে সভা করা হবে।’