গাইবান্ধার সাত উপজেলার অধিকাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অমর একুশের শহীদ মিনার নেই। এসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে যেতে হয় দূরের কোনো প্রতিষ্ঠানে। তবে, চলতি বছরের মধ্যে বেশির ভাগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নির্মাণের আশ্বাস দিয়েছেন জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা।
জানা যায়, জেলায় ৭ শতাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে সুন্দরগঞ্জ, গাইবান্ধা সদর, সাদুল্লাপুর, পলাশবাড়ী, গোবিন্দগঞ্জ, সাঘাটা ও ফুলছড়ি উপজেলায় ৭৫টি কলেজ, ৩৫৩টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ২৪০টি কামিল, ফাজিল, আলিম ও দাখিল মাদ্রাসা রয়েছে।
এর মধ্যে ৩০৭টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার আছে, ৩৬১টি প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নেই। ২৪০টি মাদ্রাসার মধ্যে একটিতেও শহীদ মিনার নেই।
অভিভাবক ও মানবাধিকারকর্মী কেএম সালাউদ্দিন বলেন, সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার থাকা দরকার। তা না হলে বর্তমান প্রজন্মের শিক্ষার্থীরা ভাষা আন্দোলন ও শহীদদের সম্পর্কে জানতে পারবে না।
এনএইচ মডার্ন উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. রবিউল ইসলাম বলেন, কী কারণে ভাষা আন্দোলনে শহীদরা আত্মাহুতি দিয়েছিলেন পরবর্তী প্রজন্মকে এ বিষয়ে জানাতে প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে একটি করে শহীদ মিনার নির্মাণ করা দরকার।
গাইবান্ধা জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. এনায়েত হোসেন বলেন, ‘মুজিববর্ষে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নির্মাণ করার জন্য প্রতিষ্ঠানের প্রধানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল।
কিন্তু করোনার কারণে শহীদ মিনার নির্মাণকাজ শেষ করা সম্ভব হয়নি। আশা করি ২০২২ সালে বেশির ভাগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নির্মাণ করা হবে।’