নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে ফসলি জমির মাটি জোর করে কেটে নেওয়ার সময় পাশের একটি রাস্তা ধসে যায়। এতে দুই গ্রামের মধ্যে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসী গতকাল রোববার ভ্রাম্যমাণ আদালত ও পুলিশের উপস্থিতিতেই দুটি ভেকুতে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়। এ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালত একজনকে তিন মাসের কারাদণ্ড দেন।
পেরাব গ্রামের বাসিন্দা শামীম মিয়া জানান, স্থানীয় আওয়ামী লীগের কর্মী পরিচয় দিয়ে জামপুর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য ছগির আহম্মেদের ছেলে ফয়সাল মিয়া ও তাঁর সহযোগী পেরাব গ্রামের সোয়েব মিয়া, সোলায়মান খন্দকার, সালাউদ্দিন, মোহাম্মদ আলী, আব্দুল মজিদ ও আতাউর রহমানের নেতৃত্বে ২০-২৫ জনের একটি চক্র কৃষকদের জমির মাটি কেটে বিক্রি করে দিচ্ছে।
জানা যায়, গতকাল রোববার বেলাব গ্রামে রাস্তার পাশের জমি থেকে ভেকু দিয়ে মাটি কাটার সময় রাস্তাটি ভেঙে যায়। এতে গ্রামবাসীর চলাচলে বন্ধ হয়ে যায়। প্রতিবাদে গতকাল সকাল থেকে সাত গ্রামের মানুষ একত্র হয়ে বিক্ষোভ করেন। খবর পেয়ে বিকেল চারটায় উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) গোলাম মুস্তাফা মুন্না পুলিশ নিয়ে বেলাব গ্রামে উপস্থিত হন। এ সময় চক্রটি পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায়। পরে মাটি কাটার সঙ্গে জড়িত সোলায়মান খন্দকার নামের এক ব্যক্তিকে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
এদিকে ভ্রাম্যমাণ আদালত ও পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হওয়ার পর গ্রামবাসী বিক্ষুব্ধ হয়ে পড়ে। অবৈধভাবে মাটি কাটার কাজে ব্যবহৃত দুটি ভেকু আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়।
ফয়সাল মিয়া ও সোয়েব মিয়া বলেন, ‘আমরা কৃষকের কাছ থেকে মাটি কিনে বিক্রি করি, এতে দোষের কী আছে? সন্ত্রাসী কোনো কাজের সঙ্গে আমরা জড়িত নই।’
উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক সামছুল ইসলাম ভূঁইয়া জানান, ‘কৃষকদের জমির মাটি কেটে নিয়ে যাওয়ার খবর পেয়েছি। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রশাসনকে অনুরোধ জানিয়েছি।’
সহকারী কমিশনার (ভূমি) গোলাম মুস্তাফা মুন্না জানান, ‘কৃষকদের ফসলি জমির মাটি কাটার প্রমাণ পেয়েছি। অভিযান অব্যাহত রাখব।’