জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে এডিপিভুক্ত প্রকল্পের পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন নিশ্চিতকরণ সম্পর্কিত জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে আদেশ অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন প্রকৌশলীরা। গতকাল নেত্রকোনা, জামালপুর ও শেরপুরে এই মানববন্ধন হয়। এতে সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে কর্মরত প্রকৌশলীরা অংশ নেন। তারা বলেন, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জারি করা আদেশ অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে। অন্যথায় আগামীতে কালো ব্যাচ ধারণসহ কর্মবিরতির মতো কঠোর আন্দোলনের দিকে যাওয়া হবে। এই আদেশে প্রকৌশলীদের মর্যাদা ক্ষুণ্ন করা হয়েছে বলেও মনে করেন বক্তারা।
নেত্রকোনা: মোক্তারপাড়া এলাকায় জেলা প্রেসক্লাবের সামনে সড়কে মানববন্ধনে অংশ নেন বিভিন্ন দপ্তরের প্রকৌশলীরা। মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন–গণপূর্ত বিভাগের প্রকৌশলী হাসিনুর রহমান, সড়ক ও জনপদ বিভাগের প্রকৌশলী শাহরিয়ার শরিফ খান ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলী এম এল সৈকত।
জামালপুর: জেলা শহরের দয়াময়ী মোড়ে এ মানববন্ধন হয়। এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন–জামালপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ আবু সাঈদ, এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সায়েদুজ্জামান সাদেক, গণপূর্তের নির্বাহী প্রকৌশলী মোবারক হোসেন, বিদ্যুৎউন্নয়ন ও বিতরণ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী এবিএম ফারুক হোসেনসহ অনেকে।
শেরপুর: শহরের থানামোড়স্থ বঙ্গবন্ধু স্কয়ারে গতকাল ঘণ্টাব্যাপী এই মানববন্ধন হয়। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন শেরপুরের জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মুহাম্মদ ছামিউল হক, বিদ্যুৎ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সুব্রত রায়, গণপূর্ত অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী জিল্লুর রহমান সিদ্দিকী, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের (এলজিইডি) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মোস্তাফিজুর রহমান, শিক্ষা প্রকৌশল বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী জয়িতা দেবশ্রী, সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মো. জাহিদুল ইসলাম, এলজিইডির সহকারী প্রকৌশলী জাহানারা পারভীন প্রমুখ।
এ সময় বক্তারা বলেন, বিদ্যমান পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন পদ্ধতির আলোকে প্রকৌশলীদের প্রত্যক্ষ সম্পৃক্ততায় পদ্মা সেতু, কর্ণফুলী টানেল, পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মতো স্থাপনা বাস্তবায়ন বিশ্বে বাংলাদেশকে মর্যাদার আসনে স্থান দিয়েছে। কিন্তু সম্প্রতি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে ডিসিদের মাধ্যমে প্রকল্পের পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন নিশ্চিত করা সম্পর্কিত আদেশ জারি করা হয়। এতে উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে মাঠ পর্যায়ে জটিলতা সৃষ্টি হবে। তাই অবিলম্বে এ আদেশ বাতিল করার আহ্বান জানান বক্তারা।