শ্রীমঙ্গলে প্রতি বছরের ন্যায় এবারও শেষ কার্তিকে নতুন ফসল ঘরে তুলতে নানা উৎসবের মাধ্যম দিয়ে পালিত হলো গারো সম্প্রদায়ের ধর্মীয় ওয়ানগালা উৎসব বা গারো নবান্ন উৎসব। গারোদের ঐতিহ্যবাহী নানা রঙের নিজস্ব পোশাকে উৎসবে হাজির হন গারো শিল্পীরা। নতুন ফসল ঘরে তোলার বিভিন্ন অনুষঙ্গ নৃত্য-গীতের মধ্যে দিয়ে শিল্পীরা উপস্থাপন করেন।
গতকাল রোববার সকাল ৯টায় ‘থক্কা’ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে এর সূচনা করেন বিশপ শরত ফ্রান্সিস গমেজ। দুপুরে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান। বিশেষ অতিথি ছিলেন শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম। এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন প্রশাসনের বিভিন্ন কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি ও গারো সম্প্রদায়ের নেতারা।
ফুলছড়া (গারো লাইন) মাঠে শ্রীচুক আচিক আসং নকমা অ্যাসোসিয়েশন ও শ্রীচুক গারো যুব সংগঠন এর আয়োজনে করে। এতে অংশ নেয় মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল ও কমলগঞ্জ উপজেলার এবং হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার গারো জনগোষ্ঠী। ওয়ানা’ শব্দের অর্থ দেবদেবীর দানের দ্রব্যসামগ্রী আর ‘গালা’ অর্থ উৎসর্গ করা। দেবদেবীর কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ ও মনোবাসনার নানা নিবেদন হয় এ উৎসবে।