হোম > ছাপা সংস্করণ

একটি ত্বরিত সিদ্ধান্ত..

সাজন আহম্মেদ পাপন, কিশোরগঞ্জ 

রাত তখন সাড়ে ১১টা। তাড়াইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে প্রসূতি স্বর্ণাকে নিয়ে কিশোরগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে আসেন তাঁর স্বজনেরা। কর্তব্যরত চিকিৎসক কাগজপত্র দেখে পরামর্শ দেন শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার। পরে রাত প্রায় সাড়ে ১২টায় তাঁরা ওই মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পৌঁছান। জরুরি বিভাগের চিকিৎসক রোগীকে গাইনি অ্যান্ড অবস বিভাগে ভর্তি হতে বলেন।

হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক জেরিনের প্রসূতি স্বর্ণার প্যাথলজিক্যাল রিপোর্ট দেখে চোখ কপালে ওঠার অবস্থা। সকাল ১০টা থেকে রোগীর পানি ভাঙা ও প্রস্রাবের রাস্তায় রক্তপাত; অন্যদিকে রোগী সম্পর্কে না জেনে কীভাবে চিকিৎসা দেবেন। এমনকি প্রসূতির রক্তের গ্রুপ পর্যন্ত জানেন না কেউ। ধাঁধায় পড়ে যান তিনি। পরামর্শ করেন হাসপাতালের পরিচালক ডা. হাবিবুর রহমানের সঙ্গে। তাঁরা সিদ্ধান্ত নেন অস্ত্রোপচারের। বর্তমানে মা ও বাচ্চা ভালো আছেন।

শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. হাবিবুর রহমান বলেন, ‘রাত সাড়ে ১২টার দিকে স্বর্ণাকে হাসপাতালে নিয়ে এলে আমার পরামর্শে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্যাথলজিক্যাল রিপোর্ট দেখতে চান। শুধু আলট্রাসনোগ্রাফি ছাড়া তাঁরা আর কোনো রিপোর্ট দেখাতে পারেননি। এমনকি রক্তের গ্রুপটাও জানা ছিল না তাঁদের। মা ও বাচ্চা দুজনের জীবনই ঝুঁকিতে ছিল, তাই আমি পরামর্শ দিই অস্ত্রোপচারের। আল্লাহর রহমতে এখন মা ও শিশু দুজনেই সুস্থ আছেন।’

স্বর্ণার স্বামী আনিসুল বলেন, ‘হাসপাতালের স্যারেরা যদি সময়মতো চিকিৎসা না দিতেন, তাহলে আমার স্ত্রীকে আর বাঁচানো সম্ভব হতো না। আমার পুত্রসন্তান হয়েছে। মা ও সন্তান দুজনেই সুস্থ আছে।’

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ