কিশোরগঞ্জের তাড়াইলে মেয়েদের উত্যক্ত করার (ইভটিজিংয়ের) প্রতিবাদ করায় পলাশ মিয়া নামের এক কিশোরকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে রাজীব মিয়া নামের স্থানীয় আরেক যুবকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় পলাশের বাবা বাদী হয়ে রাজীব মিয়াসহ অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করে গতকাল বুধবার বিকেলে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। পলাশ কাজলা বগারবাইদ এলাকার বাসিন্দা এবং স্থানীয় কাজলা উচ্চবিদ্যালয়ের একজন এসএসসি পরীক্ষার্থী। অভিযুক্ত রাজীব কাজলা মধ্যপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। এ ঘটনায় গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে কাজলা বগারবাইদ এলাকায় কাজলা উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ স্থানীয় লোকজন রাজীবের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করেন।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত বুধবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে পলাশ সাইকেলে স্কুলে যাচ্ছিল। পথে সাঙ্গপাঙ্গদের নিয়ে পলাশের ওপর হামলা চালায় রাজীব। এ সময় পলাশকে বাঁশের লাঠি দিয়ে পিটানো হয়। এ সময় চিৎকার করলে কাজলা উচ্চবিদ্যালয়ের ইংরেজি শিক্ষিকা রাবিয়া আক্তার লিপিসহ স্থানীয় লোকজন পলাশকে উদ্ধার করেন এবং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান।
জানতে চাইলে পলাশ বলেন, বিদ্যালয়ের ছাত্রীদের আসা যাওয়ার পথে বিভিন্ন সময় রাজীব কটূক্তি করত। তার প্রতিবাদ করায় কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে আমার ওপর হামলা চালায়।
এদিকে মানববন্ধনের খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট লুবনা শারমীন এবং তাড়াইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জয়নাল আবেদীন সরকার ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। তাঁরা সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে রাজীবকে শাস্তির আওতায় আনার আশ্বাস দেন।