রাজশাহীর গোদাগাড়ী থানা-পুলিশের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ উঠেছে। দুই পক্ষের বাড়ির ভিটা নিয়ে বিরোধ নিষ্পত্তি ও মামলার ক্ষেত্রে গোদাগাড়ী থানা ও কাঁকনহাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র পক্ষপাতিত্ব করছে বলে অভিযোগ তুলেছেন আবদুল গাফফার নামের এক ব্যক্তি। তাঁর বাড়ি উপজেলার রিশিকুল ইউনিয়নের আলোকছত্র গ্রামে।
আবদুল গাফফারের সঙ্গে বাড়ির জমি নিয়ে তাঁর ভাই আবদুল খালেকের বিরোধ। খালেকের ছেলে মো. ওয়ালিদ পুলিশে কনস্টেবল পদে চাকরি করে। তাই থানা ও ফাঁড়ি পুলিশ তাঁর পক্ষ নিয়ে কাজ করছে বলে অভিযোগ করেছেন গাফফার। গতকাল রোববার দুপুরে রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়ন কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে তিনি এই অভিযোগ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়েন আবদুল গাফফারের ছেলে ইয়ামিন আলী। তিনি বলেন, তাঁর বাবারা চার ভাই। দাদার মৃত্যুর পর ওই চার ভাই দাদার সম্পত্তি বাঁটোয়ারা করে নেন। বর্তমানে তাঁরা যে বসতবাড়িতে থাকেন সে জায়গাটি হাতিয়ে নিতে ২০০৯ সাল থেকে তাঁর চাচা আবদুল খালেক প্রচেষ্টা শুরু করেন। ২০১২ সালে খালেকের ছেলে ওয়ালিদ পুলিশে চাকরি পেলে জমি দখল করতে তাঁরা আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠেন।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, জমি দখলে নিতে ওয়ালিদ বিভিন্ন সময় গোদাগাড়ী থানা ও কাঁকনহাট ফাঁড়ি পুলিশ সদস্যদের অবৈধভাবে ব্যবহার করছেন। ইতিমধ্যে ভুক্তভোগী পরিবারের সম্পত্তির একটি অংশ হাতছাড়া হয়ে গেছে। এখন পুরো সম্পত্তি দখল নিতে ভুক্তভোগী পরিবারের প্রবেশ পথে গবাদিপশুর বিষ্ঠা ছড়িয়ে ছিটিয়ে রাখা হচ্ছে। স্থানীয় নেতাদের ব্যবহার করা হচ্ছে, তাঁদের দিয়ে ভয়ভীতি প্রদর্শন করা হচ্ছে ভুক্তভোগী পরিবারকে।
ইয়ামিন আলী দাবি করেন, তাঁর বাবা আব্দুল গাফফারকে বিভিন্ন সময় মোবাইলে ও সশরীরে গুম করে দেওয়ার হুমকি দিয়ে আসছেন পুলিশ সদস্য ওয়ালিদ।
পুলিশ কনস্টেবল মো. ওয়ালিদ বলেন, ‘এসব মিথ্যা অভিযোগ। গ্রামের সবাইকে নিয়ে সালিসের মাধ্যমে আমরা যে অংশটুকু পেয়েছি, সেটুকু দখলে নেওয়া হয়েছে। এর বেশি একটুও না।’
গোদাগাড়ী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘ওসি স্যার না থাকায় আমি দায়িত্বে। এ বিষয়গুলো আমি বিস্তারিত জানি না। তবে কেউ পুলিশ সদস্য হলেই যে বাড়তি সুবিধা পাবেন, বিষয়টা তেমন না।’