‘প্রশ্ন ফাঁসের বিরুদ্ধে, আগুন জ্বালো এক সাথে’, ‘প্রশ্ন ফাঁস বন্ধ করো, গুচ্ছ পরীক্ষা চালু করো’, ‘৩০ এর গণ্ডি, ভেঙে দাও, গুঁড়িয়ে দাও’ স্লোগান দেওয়া হচ্ছিল গতকাল শুক্রবার বিকেলে। শাহবাগ থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বর পর্যন্ত এমন স্লোগান দিচ্ছিলেন চাকরিপ্রত্যাশীরা। এদিন বিভিন্ন চাকরির পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার পর চাকরিপ্রত্যাশীরা বয়সসীমা বৃদ্ধিসহ চার দফা দাবিতে বিক্ষোভ করেন।
বিক্ষোভে অংশ নেওয়া তাসলিমা আক্তার নামে একজন বলেন, ‘আজকেও আমার একটা পরীক্ষা ছাড়তে হয়েছে। টাকা দিয়ে আবেদন করার পরেও কেন আমাকে প্রতি সপ্তাহে পরীক্ষা ছেড়ে দিতে হবে? এর দায়ভার কে নেবে?’
চাকরিপ্রত্যাশীদের অভিযোগ, করোনার কারণে দেড় বছর বহু নিয়োগ পরীক্ষা আটকে ছিল। এতে তাঁরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এখন একসঙ্গে একাধিক চাকরির পরীক্ষার সূচি পড়ছে। ফলে তাঁরা আরেক দফা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে প্রশ্নপত্র ফাঁস। এসব সমস্যার মধ্যেই চাকরিপ্রার্থীদের বয়স শেষ হয়ে যাচ্ছে।
এদিকে গতকাল অনুষ্ঠিত হয় সরকারনিয়ন্ত্রিত ৯টি প্রতিষ্ঠানের পরীক্ষা। এর আগে ৩ ডিসেম্বর হয়েছিল ১৭টি প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ পরীক্ষা। একই সময়ে একাধিক পরীক্ষার সমস্যা দূর করতে গুচ্ছ পদ্ধতিতে পরীক্ষা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন প্রার্থীরা। আর স্থায়ীভাবে বয়সসীমা বৃদ্ধি করলে চাকরিপ্রার্থীদের গত কয়েক মাসের ক্ষতি কিছুটা হলেও পুষিয়ে নেওয়া সম্ভব হবে বলে জানাচ্ছেন তাঁরা।
এসব দাবি আদায়ে চাকরিপ্রত্যাশীরা গতকাল টানা তৃতীয় দিনের মতো শাহবাগে বিক্ষোভ করেন। সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্য পরিষদের ব্যানারে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। এ দিন বিকেলে শাহবাগ থেকে মিছিল নিয়ে যান কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে।