চারটি পোশাক রপ্তানির চালানের মাধ্যমে সাড়ে ৬ কোটির বেশি টাকা পাচার চেষ্টা ঠেকানোর দাবি করেছেন কাস্টমস কর্মকর্তারা। গত বুধবার রাতে বিষয়টি জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
জানা গেছে, ২০২০ সালের ২৫ অক্টোবর থেকে ২০২২ সালের ১১ জানুয়ারি পর্যন্ত ১১৩টি পণ্যের চালান রপ্তানি করে আরএম সোর্সিং বাংলাদেশ নামের প্রতিষ্ঠানটি। রাজধানী ঢাকার উত্তরা ৭ নম্বর সেক্টরের ৬৯ প্লটের রাজউক কমার্শিয়াল কমপ্লেক্সে অবস্থিত প্রতিষ্ঠানটির কার্যালয়। তাদের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট ছিল চট্টগ্রামের ১৬৮ সদরঘাটের বেঙ্গল প্রগ্রেসিভ এন্টারপ্রাইজ। চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর হয়ে চালানগুলো ফিলিপাইনে রপ্তানির জন্য কেডিএস লজিস্টিকস লিমিটেড নামের বেসরকারি ডিপোতে কনটেইনারে লোড করা হয়।
জানতে চাইলে কাস্টমস হাউসের উপকমিশনার (এআইআর শাখা) মো. শরফুদ্দিন মিঞা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানটি ঘোষণার বেশি পণ্য পাঠাচ্ছে—গত ১২ জানুয়ারি এমন গোপন সংবাদ পাই। এর পরিপ্রেক্ষিতে তাৎক্ষণিকভাবে আমরা পণ্যের চালানগুলোর রপ্তানি স্থগিত করি। পাশাপাশি অনলাইনে চালানগুলো বিশ্লেষণ করে চারটি চালানে বেশি থাকতে পারে—এমন সন্দেহ হলে সেগুলো কায়িক পরীক্ষা করে নিশ্চিত হই।’
চারটি চালানের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি ৬ কোটি ৬২ লাখ ৬৭ হাজার ৭৮৮ টাকা পাচারের অপচেষ্টা চালায় বলেও জানান এই কাস্টমস কর্মকর্তা। তিনি বলেন, এ ঘটনায় প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
কাস্টমস হাউসের এআইআর শাখা সূত্রে জানা গেছে, চারটি বিল অব এক্সপোর্টের বিপরীতে রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানটি আইএফআইসি ব্যাংকের মাধ্যমে এলসি করে। তাদের ঘোষিত ২৪ হাজার ৩৪৪ পিসের (প্রতি চালানে ৬ হাজার ৮৬ পিস) বিপরীতে মোট ২৯ হাজার ৯৪৪ ইউরো (প্রতি পিসের ঘোষিত মূল্য ১ দশমিক ২৩ ইউরো) বা ২৯ লাখ ৬০ হাজার ২৪৮ টাকা পাওয়া যেত। তবে সঠিক ঘোষণা থাকলে বাংলাদেশি মুদ্রায় ৬ কোটি ৯২ লাখ ২৭ হাজার ৯৫২ টাকা পাওয়া যেত। এই চার চালানে ৬ কোটি ৬২ লাখ ৬৭ হাজার ৭৮৮ টাকা পাচারের অপচেষ্টা করে রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানটি।