করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন গোটা বিশ্বের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর থেকে বাঁচার জন্য পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে নেওয়া হয়েছে বিভিন্ন ব্যবস্থা। বাংলাদেশও ঝুঁকিতে। ইতিমধ্যে দুজনের আক্রান্তের খবর আমরা পেয়েছি। সুতরাং দেশে এটি ছড়াতে পারে। আমাদের মনে থাকতে হবে, ডেলটাসহ অন্য সব ধরনের চেয়ে ৬ গুণ বেশি সংক্রমণশীল ওমিক্রন।
যেহেতু দেশে ঢুকেছে, তাই এখনই যদি আমরা সতর্ক না হই, তাহলে দ্রুত ছড়াতে থাকবে। বাংলাদেশ অত্যন্ত ঘনবসতিপূর্ণ দেশ। সুতরাং সেভাবে ছড়ালে অল্প সময়ে অনেক মানুষ সংক্রমিত হতে পারে। এ জন্য যাঁরা আক্রান্ত হয়েছেন, তাঁদের কন্টাক্ট ট্রেসিং (সরাসরি সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের চিহ্নিত করা) জরুরি। তাঁদের আইসোলেশনে রেখে যে চিকিৎসা চলছে, সেটি চালিয়ে যেতে হবে। তাঁদের মাধ্যমে যাতে অন্য কেউ আবার সংক্রমিত না হয়, সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে।
এ ছাড়া এখন পর্যন্ত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) বক্তব্য, ওমিক্রন নিয়ে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। কারণ, বর্তমানে যে স্বাস্থ্যবিধির নির্দেশনাগুলো আছে (মাস্ক পরা ও টিকা নেওয়া), এগুলো নিশ্চিত করতে পারলে অন্য ধরনের মতো ওমিক্রনকেও ঠেকানো সম্ভব। তবে আশার কথা হলো, এটি তাড়াতাড়ি যদি ছড়ায়ও, এখন পর্যন্ত যেসব টিকা আবিষ্কৃত হয়েছে, এসব টিকায় তা প্রতিরোধ করা যায়। তবে আমাদের মনে রাখতে হবে, টিকা নেওয়ার পরও আক্রান্ত হওয়ার উদাহরণ আছে।
সরকারের প্রস্তুতি থাকতে হবে। উপজেলা হাসপাতালগুলোয়, করোনার পরীক্ষার পাশাপাশি প্রাথমিক সেবা নিশ্চিত করতে হবে। প্রতিটি জেলায় আরটি-পিসিআর পরীক্ষার ব্যবস্থা থাকতে হবে। যত দ্রুত সম্ভব করতে হবে।
অধ্যাপক মোজাহেরুল হক: ডব্লিউএইচওর দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সাবেক আঞ্চলিক উপদেষ্টা