যশোরের অভয়নগরে নারী শ্রমিক কেয়া খাতুন হত্যার ঘটনায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন শামীম হোসেন। বিয়েতে রাজি না হওয়ায় তিনি কেয়াকে হত্যা করেন।
গতকাল মঙ্গলবার তিনি আদালতে এই জবানবন্দি দেন বলে পুলিশ জানিয়েছে।
আগের দিন সোমবার রড দিয়ে পিটিয়ে ও অ্যাসিড দিয়ে ঝলসে হত্যা করা হয় স্বামী পরিত্যক্তা কেয়া খাতুনকে। এ ঘটনায় কেয়ার মামা লুৎফর রহমান মজুমদার বাদী হয়ে সোমবার রাতে অভয়নগর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। পুলিশ অভিযুক্ত শামীমকে ওই রাতেই গ্রেপ্তার করে।
অভয়নগর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মিলন কুমার মণ্ডল জানান, বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করার কারণে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে। প্রাথমিক তদন্তে শামীম ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। তাঁকে যশোর আদালতে পাঠানো হলে সেখানে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন তিনি। অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণ আইনে শামীমের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
এ দিকে ময়নাতদন্ত শেষে কেয়ার লাশ তাঁর গ্রামের বাড়ি উপজেলার পায়রা ইউনিয়নের কাদিরপাড়ায় দাফন করা হয়েছে। কেয়র ১০ বছরের একটি শিশু রয়েছে। সে বারবার তার মাকে খুঁজছে।