হোম > ছাপা সংস্করণ

মাতৃত্ব

সম্পাদকীয়

কেউ একজন একদিন অভিনেতা আল মনসুরকে ডেকে বললেন, ‘নন্দিত নরকে বইটা ভালো। পড়েন।’

আল-মনসুর বইটি পড়ে ফেললেন। ভালো লাগল। তারপর তিনি গেলেন বাংলাদেশ টেলিভিশন ও মঞ্চনাটকের বিশিষ্টজন আবদুল্লাহ আল-মামুনের কাছে। বললেন, ‘মামুন ভাই, এটা একটা ভালো গল্প। নাটক করা যায়।’

আবদুল্লাহ আল-মামুন বললেন, ‘লেইখ্যা ফালাও।’

লেখা তো যায় কিন্তু উপন্যাসকে নাটকে রূপান্তর করতে হলে দরকার লেখকের অনুমতি। নাট্যরূপ দেওয়ার পর লেখকের খোঁজে বের হলেন আল-মনসুর। হুমায়ূন আহমেদ তখনো জনপ্রিয় হয়ে ওঠেননি। খুঁজে তাঁর বাড়িতে যাওয়ার পর যখন প্রস্তাবটা দেওয়া হলো, তখন হুমায়ূন আহমেদ বললেন, ‘আমি তো কাল বাদে পরশু চলে যাব আমেরিকায়। চেকটা আমার স্ত্রীর নামে করে দেবেন।’

আল-মনসুর বললেন, ‘আপনার উপন্যাসের মধ্যে রাবেয়া নামে যে চরিত্রটি আছে, তাতে আমি একটা জিনিস ঢুকিয়েছি।’

‘কী?’

‘ওই মেয়েটা পাগল ও গর্ভবতী হয়ে পড়ল, এই পর্যন্তই তার চরিত্র। একটা পাগলের সর্বনাশ হয়েছে, তারপর অন্য চরিত্রের দিকে চলে গেল গল্পটা। আমার অভিজ্ঞতা থেকে আমি দেখেছি, একজন নারী যখন মা হয়, সে পাগল হোক আর সুস্থ হোক, প্রকৃতি থেকে সে অনেক কিছু শিখে নেয়। আমি এই চরিত্রটির ভেতর সেই মাতৃত্বটি নিয়ে এসেছি। রাবেয়া পুতুল খেলত, যখন সে গর্ভবতী হলো, তখন সে আমাকে মানে মন্টুকে (আল-মনসুর মন্টু চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন) আদর করতে শুরু করল, তার প্রতি আমার একটা সন্তানসুলভ মাতৃসুলভ ভালোবাসা এল—এটাই নাটকের মূল হওয়া উচিত।’

হুমায়ূন আহমেদ বললেন, ‘বাহ্ সুন্দর তো! করেন।’

যাঁরা টেলিভিশনে নাটকটি দেখেছেন, তাঁরা রাবেয়ার মধ্যে সেই মাতৃত্বটি খুঁজে পাবেন। নন্দিত নরকে উপন্যাসে কিন্তু সেটা নেই। উপন্যাস থেকে ছবি বা নাটক তৈরি করার সময় এ রকম অনেক কিছুই যুক্ত হতে পারে।

সূত্র: জাহীদ রেজা নূর, চোখের আলোয়, পৃষ্ঠা ৭৬-৭৭

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ