হোম > ছাপা সংস্করণ

যুবলীগ নেতা হত্যা মামলার ২ আসামি ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত

শ্রীমঙ্গল ও কমলগঞ্জ (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে যুবলীগ নেতা নাজমুল হত্যা মামলার দুই আসামি শ্রীমঙ্গলে র‍্যাবের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন। গতকাল রোববার ভোর রাতে শ্রীমঙ্গলের মাইজদিহি পাহাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে র‍্যাব। র‍্যাবের দাবি, অজ্ঞাত পরিচয় সন্ত্রাসীরা র‍্যাবের টহল গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি ছুড়লে বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় র‍্যাবের তিন সদস্য আহত হয়েছেন বলেও দাবি করা হয়েছে। তবে নিহতরা কয়েক দিন আগে থেকেই র‍্যাবের হেফাজতে ছিলেন বলে দাবি করেছেন তাঁদের স্বজনেরা।

নিহতরা হলেন কমলগঞ্জের প্রতাপী এলাকার আব্দুল আহাদ নাইছ মিয়ার ছেলে তোফায়েল আহমেদ (৩৫) ও জগনশালা এলাকার মনির মিয়ার ছেলে শহীদ মিয়া (৪০)। গত ৩১ আগস্ট কমলগঞ্জের চৈত্রঘাট বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ও স্থানীয় যুবলীগ নেতা নাজমুল হাসানকে দিনদুপুরে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় নাজমুলের বড় ভাই সামছুল হকের দায়ের করা হত্যা মামলার দুই নম্বর আসামি ছিলেন তোফায়েল। মামলার এজাহারে শহীদের নাম ছিল আট নম্বরে। তাঁদের পরিচয় নিশ্চিত করেছেন কমলগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) সোহেল রানা।

র‍্যাবের শ্রীমঙ্গল ক্যাম্পের কমান্ডার বসু দত্ত চাকমা জানান, রোববার ভোরে মাইজদিহি এলাকার চা-বাগানে টহল দেওয়ার সময় র‍্যাবের একটি গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি চালায় ১৪-১৫ জন সন্ত্রাসীর একটি দল। র‍্যাবের সদস্যরা আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালালে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থলে গুলিবিদ্ধ দুই ব্যাক্তিকে পড়ে থাকতে দেখা যায়। তাঁদের উদ্ধার করে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসকেরা তাঁদের মৃত ঘোষণা করেন।

র‍্যাবের এই কর্মকর্তা জানান, ঘটনাস্থল থেকে দুটি বিদেশি পিস্তল, ১২ রাউন্ড গুলি, দুটি রামদা, একটি কিরিচ জব্দ করা হয়েছে।

দুজনের লাশ র‍্যাবের পক্ষ থেকে শ্রীমঙ্গল থানায় হস্তান্তর করা হয়।

এরপর পৃষ্ঠা ২ কলাম ১

 

সেখান থেকে লাশ দুটি নেওয়া হয় মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতাল মর্গে। ময়নাতদন্ত শেষে গতকাল রাতেই লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন কমলগঞ্জ থানায় দায়ের হওয়া নাজমুল হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মহাদেব বাছাড়।

স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, গতকাল রাতেই পারিবারিকভাবে নিহতদের দাফন সম্পন্ন করার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

র‍্যাবের পক্ষ থেকে বন্দুকযুদ্ধের কথা বলা হলেও নিহতদের স্বজনদের দাবি, ঘটনার আগেই তাঁদের হেফাজতে নিয়েছিল র‍্যাব। নিহত শহীদের মা বেগম বিবি দাবি করেছেন, নাজমুল হত্যাকাণ্ডের পর তাঁর ছেলে রাজনগর উপজেলার বালিগাঁও গ্রামে আশ্রয় নিয়েছিলেন। বুধবার সেখান থেকে র‍্যাব তাঁকে ধরে নিয়ে যায়।

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ