পেশায় রংমিস্ত্রির সহকারী ছিলেন আবদুল করিম। সহকারী হলেও কাজের যন্ত্রপাতি ছিল তাঁর। তারপরও মিস্ত্রি মনির তাঁকে কম মজুরি দিতেন। তাই তাঁর সঙ্গে কাজে যেতে আপত্তি জানান করিম। আর এতেই প্রাণ দিতে হলো করিমকে।
গতকাল বুধবার দুপুরে রাজধানীর মালিবাগে সিআইডির প্রধান কার্যালয়ে এ তথ্য জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খায়রুল আমিন। তিনি বলেন, করিম নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার উপজেলার ব্রাহ্মনদী ইউনিয়নের ব্রাহ্মনদী ষাড়পাড়া গ্রামের বাসিন্দা। ৫ জানুয়ারি মজুরি কম দেওয়ার প্রতিবাদ করায় সহকর্মীর এলোপাতাড়ি পিটুনিতে আবদুল করিমের মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় মনির নামে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
খায়রুল আমিন আরও বলেন, ঘটনার দিন সকাল ৭টায় করিমের বাসায় আসেন সহকর্মী রংমিস্ত্রি মনির। মনির হোসেনের সঙ্গে কাজে যেতে অনীহা প্রকাশ করেন করিম। কারণ, তাঁর যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে মনির কাজ করলেও করিমকে মজুরি কম দেওয়া হতো। এমন অভিযোগ তোলায় তাঁকে এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি মেরে গুরুতর আহত করে মাটিতে ফেলে দিয়ে দ্রুত পালিয়ে যান মনির। পরে করিমকে পরিবারের সদস্যরা উদ্ধার করে জোবেদ আলী মেডিকেল হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বেশ কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার জন্য দিলে পরীক্ষার টাকা সংগ্রহ করতে করিমকে বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। বাড়িতে নেওয়ার কিছুক্ষণ পরই তিনি মারা যান।
ওই ঘটনায় নিহত করিমের স্ত্রী নার্গিস (৪৮) মনিরের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন। গত মঙ্গলবার রাতে অভিযান চালিয়ে শরীয়তপুর জেলার গোসাইরহাট থেকে মনিরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মনির ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন বলে জানিয়েছেন পুলিশ কর্মকর্তা।