হোম > ছাপা সংস্করণ

উচ্ছ্বাসে বিলীন স্বাস্থ্যবিধি

মাইনউদ্দিন শাহেদ, কক্সবাজার

দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়লেও কক্সবাজারের সমুদ্রসৈকত এলাকায় স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা করছেন না পর্যটকেরা। এতে ব্যাপক হারে ভাইরাসটির সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে পারে—এমন শঙ্কা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা।

সৈকত উন্মুক্ত করার পর কয়েক দিন জেলা প্রশাসনের সৈকতকর্মী ও টুরিস্ট পুলিশ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে মাইকিং ও প্রচারণা চালান। তবে গত শুক্রবার ও গতকাল শনিবার সৈকত এলাকায় এমন তৎপরতা চোখে পড়েনি। , হোটেল-মোটেল, রেস্তোরাঁ ও মার্কেটগুলোয় কোথাও স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা করছেন না পর্যটকেরা। সৈকতকর্মীরা বলছেন, পর্যটকদের নানাভাবে বলেও কাজ হয় না। মাস্ক পরে সৈকতে ঢুকলেও তা আবার খুলে ফেলেন বেশির ভাগ পর্যটক।

সৈকতের সবচেয়ে বেশি পর্যটক সমাগম হয় সুগন্ধা পয়েন্টে। এখানে সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত পর্যটকেরা ভিড় করেন। সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় গত দুদিনে লাখো পর্যটক এসেছেন কক্সবাজারে।

গতকাল বিকেলে সৈকতের লাবণী ও সুগন্ধা পয়েন্টে দেখা গেছে, পর্যটকেরা আনন্দ-উচ্ছ্বাসে মেতে রয়েছেন। কেউ নোনাজলে গোসল করছে, কেউ বিচ বাইকে সৈকত দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন। তাঁদের অধিকাংশের মুখে মাস্ক দেখা যায়নি।

কুমিল্লার চান্দিনা থেকে সপরিবারের বেড়াতে আসা এমদাদুল হক বলেন, সামাজিক দূরত্ব মেনে চলা তো দূরের কথা কেউ মাস্কই পড়ছেন না। সৈকতে গোসলে নেমে কী আর মাস্ক পরা যায়?

চট্টগ্রামের পাহাড়তলী এলাকা থেকে আসা সোহেল মাহমুদ বলেন, যে কোনো উপায়ে সৈকতে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করা প্রয়োজন। কারণ এখানে মানুষের জটলা বেশি।

কক্সবাজার সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) শাহীন আবদুর রহমান নিজের ফেসবুক পেজে পর্যটকে ঠাসা সৈকতের ছবি আপলোড দিয়ে লেখেন, ‘লাখো ওমিক্রনের সমারোহ কক্সবাজারে।’

গত তিন দিনে কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবের হিসেবে দেখা যায়, ৫ জানুয়ারি ৩৫১ জনের নমুনা পরীক্ষায় ২ জন, ৬ জানুয়ারি ৪৬৯ জনের নমুনা পরীক্ষায় ২৮ জন ও ৭ জানুয়ারি ৫৭৫ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১৬ জনের শরীরে করোনার সংক্রমণ ধরা পড়েছে।

কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. অনুপম বড়ুয়া বলেন, সংক্রমণ রোধে স্বাস্থ্যবিধি মানা ও জনসমাগম এড়িয়ে চলার বিকল্প নেই।

টুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, পর্যটকদের সচেতনতা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে পুলিশ মাইকিং করে আসছে। তবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে এখনো এ বিষয়ে কোনো নির্দেশনা পাননি তাঁরা।

করোনার সংক্রমণ রোধে গত দুই বছরে প্রায় সাড়ে ৯ মাস দেশের প্রধান পর্যটনকেন্দ্র কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে পর্যটক সমাগম নিষিদ্ধ ছিল। গত বছরের ১৯ আগস্ট স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার শর্তে জেলা প্রশাসন সমুদ্রসৈকতসহ পর্যটনকেন্দ্র উন্মুক্ত করে দেয়। তবে আবাসিক হোটেল-মোটেল, কটেজ, গেস্ট হাউস ও রেস্তোরাঁয় ৫০ শতাংশ কক্ষ খালি রাখার সিদ্ধান্ত ছিল।

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ