ঘুমন্ত অবস্থায় নিজের সাড়ে চার বছরের শিশু সন্তান আয়ানকে গলা কেটে হত্যার ঘটনায় সাবিনা ইয়াছমিন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
সাবিনাকে গতকাল বিকেলে লক্ষ্মীপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। পারিবারিক কলহের জেরে বঁটি দিয়ে আয়ানকে গলা কেটে করেন তিনি। আদালতে দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারা জবানবন্দি দেন সাবিনা। সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জসিম উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এরপর সাবিনাকে লক্ষ্মীপুর জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।
ওসি আরও জানান, সাবিনা ইয়াছমিনের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে স্বামী আজিমুর রহমান আজিমের দাম্পত্য কলহ চলে আসছিল। এই প্রেক্ষাপটে গত রোববার রাতে স্বামীর সঙ্গে মোবাইল ফোনে সাবিনার কথা-কাটাকাটি হয়। এরপর শিশু আয়ানকে ঘুমন্ত অবস্থায় বঁটি দিয়ে জবাই করে নিজে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন সাবিনা। এ ঘটনায় শ্বশুর হুমায়ুন কবির বাদী হয়ে গত সোমবার সদর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় গ্রেপ্তার করে সাবিনাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়। হত্যাকাণ্ডের এ ঘটনায় সাবিনা অনুতপ্ত।
সৌদিপ্রবাসী আজিমের স্ত্রী সাবিনা ও শিশু আয়ানসহ যৌথ পরিবার লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার লাহারকান্দি গ্রামে ভাড়া বাসায় থাকতেন। সম্প্রতি তাঁদের সংসারে আর্থিক সংকট দেখা দেয়। স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কেও বিরোধ দেখা দেয়। সর্বশেষ রোববার মোবাইল ফোনে স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়া হয়।