হোম > ছাপা সংস্করণ

‘নায়িকা’ ফাল্গুনী নায়ার

সাঈম শামস্

ফাল্গুনী নায়ার পড়ালেখার পাট চুকিয়ে যোগ দিয়েছিলেন ব্যাংকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর হিসেবে। নিজের কাজটা খুব মনোযোগ দিয়ে করায় ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা তাঁকে খুব পছন্দ করতেন। ফাল্গুনীর স্বামী সঞ্জয় নায়ার অন্য একটি ব্যাংকে চাকরি করতেন। ১৯৯৪ সালে সঞ্জয়কে তাঁর ব্যাংকের লন্ডন শাখায় বদলি করা হয়। ফাল্গুনী নিজের চাকরি ছেড়ে, স্বামীর সঙ্গে লন্ডনে যাবেন বলে ঠিক করেন। কিন্তু ফাল্গুনীর ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা কোনোভাবেই ফাল্গুনীর মতো দক্ষ কর্মকর্তাকে হারাতে চাননি। অবশেষে ফাল্গুনীকে মানাতে না পেরে তিনি সিদ্ধান্ত নেন ফাল্গুনীর জন্য লন্ডনে ব্যাংকের একটি আন্তর্জাতিক শাখা খুলবেন! ভারত, ইংল্যান্ড ও আমেরিকা মিলিয়ে ফাল্গুনী ১৯ বছর সেই ব্যাংকে চাকরি করেছেন।

চাকরির সুবাদে বিদেশের বিভিন্ন শপিং মলে কেনাকাটার অভিজ্ঞতার আলোকে ফাল্গুনী উন্নতমানের বিউটি প্রোডাক্ট সম্পর্কে পরিচিত হওয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন। ভারতের অধিকাংশ নারী তখন বিউটি প্রোডাক্ট বলতে শুধু চিনত কাজল আর লিপস্টিক। গুজরাটের ব্যবসায়ী পরিবারে জন্ম নেওয়া ফাল্গুনী ভাবলেন, এগুলো ভারতীয় নারীদের কাছে পৌঁছানো দরকার। তখন ই-কমার্স নিয়ে অনেকের মাঝেই নেতিবাচক ধারণা ছিল। বিউটি প্রোডাক্টের মতো স্পর্শকাতর পণ্য গ্রাহকেরা অনলাইনে কিনবেন কি না, তা নিয়েও ছিল অনিশ্চয়তা। তারপরও ২০১২ সালের এপ্রিলে ফাল্গুনী নায়ার ৫০ বছর বয়সে নিজের উপার্জিত ২০ লাখ ডলার দিয়ে ই-কমার্স ব্যবসা চালু করলেন। নাম দিলেন ‘নায়িকা’।

ব্যাংকে কাজ করার দীর্ঘ অভিজ্ঞতা থাকলেও ব্যবসায় হাতেনাতে কাজ করার অভিজ্ঞতা ছিল না ফাল্গুনীর। তিনি প্রতিদিন ১০টির বেশি অর্ডার ডেলিভারি করতে পারছিলেন না। গ্রাহকেরা অসন্তুষ্ট হচ্ছিলেন। অব্যবস্থাপনার কারণে একে একে তাঁর টিম থেকে লোকজন বেরিয়ে যাচ্ছিল। একপর্যায়ে সাতজনের ছোট্ট টিমটি থেকে পাঁচজনই বেরিয়ে গিয়েছিলেন।

ফাল্গুনী এবার নিজের মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে ব্যবসাটাকে দাঁড় করানোর জন্য প্রাণপণ চেষ্টা করলেন। গভীর রাত পর্যন্ত অক্লান্ত পরিশ্রম করলেন, গ্রাহকদের অভিযোগগুলো শুনলেন এবং সমাধানের রাস্তা খোঁজার চেষ্টা করলেন। এভাবে ধীরে ধীরে নায়িকা নামের ছোট্ট প্রতিষ্ঠানটি এগোতে শুরু করল। ফাল্গুনী বিদেশি কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি করলেন, যেন তাঁদের প্রোডাক্টগুলো ভারতে বিক্রি করা যায়। গ্রাহকদের সুবিধার্থে তৈরি করলেন মেকআপ টিউটোরিয়াল ও ব্লগ। গ্রাহকেরা সেই টিউটোরিয়াল দেখে সুবিধামতো অনলাইনে অর্ডার করতেন এবং সেগুলো ব্যবহার করতেন।

বর্তমানে নায়িকা প্রায় ২ হাজার ৫০০ ব্র্যান্ডের ২ লাখের বেশি পণ্য বিক্রি করে থাকে। অনলাইনের পাশাপাশি তাদের ১০০টির বেশি অফলাইন শো-রুম রয়েছে। ফোর্বসের মতে, ফাল্গুনী নায়ার বর্তমানে সাড়ে চার শ কোটি ডলারের মালিক এবং ভারতের অন্যতম ধনী নারী।

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ