আইডিয়াটা নিঃসন্দেহে চমৎকার। ক্রাইস্টচার্চের আইকোনিক ট্রামে ট্রফি নিয়ে উঠেছেন তিন অধিনায়ক—কেন উইলিয়ামসন, বাবর আজম আর নুরুল হাসান সোহান। সোহান অবশ্য গতকাল সাকিব আল হাসানের ‘প্রক্সি’ দিতে গিয়ে দারুণ এক মুহূর্তের সাক্ষী হয়েছেন। ভ্রমণ জটিলতায় পড়ে বাংলাদেশ দলের নিয়মিত অধিনায়ক সাকিব আজ নিউজিল্যান্ডে পৌঁছাবেন।
যে কথা হচ্ছিল, ট্রফি নিয়ে ট্রামে উঠেছেন তিন অধিনায়ক। কিন্তু তিনজনই কি নিজেদের অভিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবেন? না, শিরোপাটা শেষ পর্যন্ত একজনেরই হবে। তবে এই শিরোপা জয়ের লক্ষ্য বাংলাদেশের আছে কি না, সেটা গতকালও বোঝা গেল না। ক্রাইস্টচার্চ কিংবা ঢাকায় দলের পক্ষে যিনিই কথা বললেন, সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যের কথা কেউ-ই বলেননি। সাকিবের ডেপুটি সোহান যেমন বললেন, ‘আমাদের দলের পরিবেশ খুব ভালো। সবাই ফল নিয়ে যেন চিন্তা না করি। আমরা একটা প্রসেসের (প্রক্রিয়ার) মধ্যে আছি। আমাদের লক্ষ্য, কঠোর পরিশ্রম এবং নিজেদের কাজগুলো সঠিকভাবে যেন করতে পারি।’
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রস্তুতি হিসেবে বাংলাদেশ দলের কাছে এই সিরিজ হালকাভাবে নেওয়ার সুযোগ নেই। তবে মহাগুরুত্বপূর্ণও তারা মনে করছে না। ফল নিয়ে তাই চিন্তা করছে না। নিউজিল্যান্ডে তাহলে কী চায় বাংলাদেশ? সোহান বলছেন, ‘দলগত খেলা। পৃথকভাবে কোনো চিন্তা না করে, দলগতভাবে যখন যেভাবে প্রয়োজন পরিস্থিতি অনুযায়ী খেলা। এদিকেই আমাদের নজর।’
গতকাল ঢাকার একটি হোটেলে ত্রিদেশীয় সিরিজের লোগো উন্মোচন অনুষ্ঠানে হাবিবুল বাশার সুমনও লক্ষ্যের কথা প্রকাশ্যে আনতে চাননি। বিসিবির এই নির্বাচক বললেন, ‘দলের মধ্যে আমরা একটা ধারা চালু করতে চাচ্ছি। আগে থেকেই বলে আসছি, আমরা নির্ভার মনে ক্রিকেট খেলতে চাই। সেটা করতে গেলে, অনেক সময় লক্ষ্য বড় থাকলে আমাদের তা করতে দেয়নি। এ জন্য এবার আমরা খোলা মনে ক্রিকেট খেলতে চাই। লক্ষ্য যেটা আছে মনের মধ্যে থাক। দেখা যাক কী হয়।’
ক্রাইস্টচার্চের হ্যাগলি ওভালে ত্রিদেশীয় সিরিজের প্রথম ম্যাচেই আগামীকাল বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ পাকিস্তান। টি-টোয়েন্টিতে দুই দলের ১৬ সাক্ষাতের ১৪টিতেই হেরেছে বাংলাদেশ। সাকিবদের দুটি জয়ই মিরপুরে। শুধু পাকিস্তান কেন, নিউজিল্যান্ডের মাঠে বাংলাদেশ কখনোই টি-টোয়েন্টি ম্যাচ জেতেনি। এই অচলায়তন ভাঙতে কঠিন পরীক্ষাই দিতে হবে সাকিব-সোহানদের। এই পরীক্ষার মধ্যে আছে কন্ডিশনও। তীব্র শীত, কখনো বৃষ্টিভেজা আবহাওয়ায় ভালো করতে কতটা তৈরি, সেটাই গতকাল বলছিলেন সোহান, ‘কন্ডিশন একটু ভিন্ন, ঠান্ডা। পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছি। আশা করি, আবহাওয়া কোনো সমস্যা হবে না।’