ঝিকরগাছা পৌর মেয়র নির্বাচন থেকে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম মুকুল কোনো অবস্থাতেই সরে দাঁড়াবেন না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন। তিনি দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
এদিকে দলের বিদ্রোহী এই মেয়র প্রার্থী আগামীকাল মঙ্গলবার নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াবেন বলে গত রোববার জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির সংবাদ সম্মেলন করে জানান। এ বিষয়ে জানতে চাইলে জাহাঙ্গীর আলম মুকুল জানান, তিনি কোনো অবস্থাতেই নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াবেন না।
রোববার জেলা আওয়ামী লীগের সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও নৌকার প্রার্থী মোস্তফা আনোয়ার পাশা জামাল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম, সাবেক আইনবিষয়ক সম্পাদক আব্দুল কাদের আজাদ।
সংবাদ সম্মেলনে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করায় তিন প্রার্থীকে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়। তাঁরা হলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সমাজ কল্যাণবিষয়ক সম্পাদক এ কে এম আমানুল কাদির টুল্লু (নারকেল গাছ), আব্দুল্লাহ আল সাঈদ (রেল ইঞ্জিন) ও শিপন সরদার (মোবাইল)।
সংবাদ সম্মেলন থেকে আরেক বিদ্রোহী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম মুকুলকে বহিষ্কার করা হয়নি। কারণ হিসেবে জেলা সভাপতি উল্লেখ করেছে, জাহাঙ্গীর আলম মুকুল ৪ জানুয়ারি সংবাদ সম্মেলন করে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করবেন।
এ বিষয়ে জেলা সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘জাহাঙ্গীর আলম মুকুলের সঙ্গে আমার একাধিকবার কথা হয়েছে। তিনি সংবাদ সম্মেলন করে নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।’
যাদের বহিষ্কার করা হয়েছে তাঁরা সবাই আওয়ামী লীগ করেন কি না–এমন প্রশ্নের জবাবে শহিদুল ইসলাম মিলন বলেন, ‘উপজেলা আওয়ামী লীগ থেকে যাঁদের নাম দিয়েছে, তাঁদেরই বহিষ্কার করা হয়েছে।’
তবে জাহাঙ্গীর আলম মুকুল বলেন, ‘শহিদুল ইসলাম মিলন আমাকে আজ রোববার ও গতকাল শনিবার মুঠোফোনে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে অনুরোধ করেছেন। আমি স্পষ্ট বলে দিয়েছে, ভেবে চিন্তেই মনোনয়ন দাখিল করেছি। কোনো অবস্থাতেই নির্বাচন থেকে বসে যাওয়ার সুযোগ নেই।’
বহিষ্কার হওয়া আব্দুল্লাহ আল সাঈদ বলেন, ‘আমি কখনও আওয়ামী লীগের কোনো পদে ছিলাম না। আমি বিদ্রোহী নই, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করব।’