বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার দাড়িয়াল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম হাওলাদারসহ তাঁর ১২ সহযোগীর বিরুদ্ধে আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন। বরিশাল সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক এস এম মাহফুজ আলম গত রোববার এ আদেশ দেন।
ভুয়া ডিক্রি ও জাল দলিলের মাধ্যমে হিন্দু পরিবারের জমি আত্মসাৎ করার অভিযোগ ছিল চেয়ারম্যানসহ অন্যদের বিরুদ্ধে। এর আগে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করে আদালতে প্রতিবেদন দিয়েছেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, দাড়িয়াল এলাকার নরেন্দ্র নাথ পাল পৈতৃক ওয়ারিশ সূত্রে ৬ একর ২ শতাংশ জমির মালিক। চেয়ারম্যান শহীদুল ইসলাম হাওলাদার নিলাম ডিক্রি সূত্রে মালিকানা দাবি করে ২০১৬ সালে ওই জমি দখলের চেষ্টা চালান। পরে নরেন্দ্র নাথ পাল জানতে পারেন ২০১৫ সালে ৩ একর ৫৩ শতাংশ জমির জাল নিলাম ডিক্রি তৈরি করা হয়েছে। অবশিষ্ট জমি আত্মসাৎ করার জন্য নরেন্দ্র নাথ পালের ফুফু জয়া ও গীতা এবং জনৈক হোসেনের নাম ব্যবহার করে একটি জাল সাব কবলা দলিল সৃষ্টি করেন চেয়ারম্যান।
২০১৯ সালে শহীদুল ইসলামসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন নরেন্দ্র নাথ পাল। সিআইডির পরিদর্শক মো. সেলিমা মিয়া অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করে প্রতিবেদন দেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, শহীদুল ইসলামস ও অভিযুক্ত অপর ৯ জনের বিরুদ্ধে আদালতে হাজির হওয়ার জন্য সমন দেওয়া হয়েছিল। তাঁরা আদালতে হাজির না হওয়ায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা দেওয়া হয়।
বাকেরগঞ্জ সার্কেল সহকারী পুলিশ সুপার সুদিপ্ত সরকার জানান, চেয়ারম্যান শহীদুল ইসলাসহ অন্যদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার বিষয়টি মৌখিকভাবে শুনেছেন।
চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলামের মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন দেওয়া হলে বন্ধ পাওয়া গেছে।