হোম > ছাপা সংস্করণ

নগর বিএনপিকে সাত দিন সময় দিল কেন্দ্র

বরিশাল প্রতিনিধি

বরিশালে বহুল আলোচিত বিএনপির নতুন তিনটি কমিটি গঠন করা হয়েছিল ৩৯ দিন আগে। এর পরপরই দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ভার্চুয়াল সভায় ৭ দিনের মধ্যে আহ্বায়ক কমিটি গঠনের নির্দেশ দিলেও তা আলোর মুখ দেখেনি। দীর্ঘ বছরের অচলায়তন ভেঙে নতুন নেতৃত্ব সৃষ্টি হলেও আগের মতোই ধীরগতিতে হাঁটছে বরিশাল বিএনপি।

বিশেষ করে নগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটিতে সমন্বয়হীনতা দেখা দিয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনে নগরের যুগ্ম আহ্বায়ককে পাত্তাই দেওয়া হচ্ছে না। এই পরিস্থিতিতে গত শুক্রবার কেন্দ্রীয় বিএনপি ৭ দিনের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ আহ্বায়ক কমিটি জমা দিতে আল্টিমেটাম দিয়ে চিঠি পাঠিয়েছে।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত ওই পত্রে নবগঠিত আংশিক আহ্বায়ক কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে দুটি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। নগর বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান ফারুক বরাবর প্রেরিত চিঠিতে দেওয়া দুটি নির্দেশনা হচ্ছে-বরিশাল মহানগর বিএনপির পূর্ণাঙ্গ আহ্বায়ক কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে ৩ জনের (আহ্বায়ক, যুগ্ম আহ্বায়ক, সদস্যসচিব) যৌথ সুপারিশ এবং আগামী ৭ দিনের মধ্যে ৪১ সদস্য বিশিষ্ট এ আহ্বায়ক কমিটি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

নগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আলী হায়দার বাবুল বলেন, ‘দল থেকে এবার আহ্বায়ক, সদস্যসচিব ও যুগ্ম আহ্বায়ক ৩ জনের যৌথ স্বাক্ষরের সুপারিশে ৪১ সদস্যের কমিটিতে কেন্দ্রে পাঠাতে বলা হয়েছে। এর আগে তাঁরা আমার সাইনিং পাওয়ারের বিষয় মানতেনই না। খসড়া কমিটি করার ক্ষেত্রে এত দিন মতামতও নেননি, আলোচনাও করেননি।’ তিনি মনে করেন, তাঁর সুপারিশ ছাড়া খসড়া করা হলেও কেন্দ্র এখন আর তা গ্রহণ করবে না।

নগর বিএনপির সদ্য মনোনীত আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান ফারুক বলেন, ‘ওরকম আলটিমেটাম বহু দেওয়া হয়েছে। বছরের পর বছর আহ্বায়ক কমিটি ঝুলে ছিল। তবে তাঁরা বিভাগীয় সমাবেশসহ নানা কর্মসূচির কারণে কমিটি পূর্ণাঙ্গ করতে পারেননি। ১৬ ডিসেম্বরের পর পূর্ণাঙ্গ আহ্বায়ক কমিটি জমা দেব। যুগ্ম আহ্বায়ক আলী হায়দার বাবুলকে নিয়েই কমিটি পূর্ণাঙ্গ করা হবে।’

পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে কারা আসতে পারে এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘অনেকে অনেকের লোক। আমি কোনো কোরামে নেই। বিগত সময়ে ত্যাগী নেতারা জায়গা পাননি।’

কমিটি গঠনে সাবেক ছাত্রনেতাদের প্রভাব খাটানো প্রসঙ্গে বিএনপি নেতা ফারুক বলেন, ‘এ ধরনের কথা নগরের নেতা–কর্মীরা হয়তো বলে।’

তবে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ৩ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি গঠনের পর নগর বিএনপির গোটা কর্তৃত্বই এখন সাবেক ছাত্রনেতাদের হাতে। সাম্প্রতিক সময়ে কয়েকজন সাবেক সিটি কাউন্সিলরকেও কর্মসূচিতে প্রাধান্যও দেওয়া হচ্ছে। দীর্ঘ দিন রাজনীতি থেকে দূরে থাকা এসব নেতাদের আহ্বায়ক কমিটিতে রাখার চাপ ক্রমশই বাড়ছে।

পাশাপাশি সরোয়ার অনুসারীদের বাদ রেখেই খসড়া করা হয়েছে এ কমিটি। এদিকে নগর বিএনপির একাধিক ওয়ার্ড নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, কোনো পক্ষের চাপে বসন্তের কোকিলদের নিয়ে পূর্ণাঙ্গ আহ্বায়ক কমিটি করা হলে দল ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তারা অভিযোগ করেন-যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাদের ওপর ভর করে বিএনপির নেতৃত্ব টিকতে পারে না।

মহানগর বিএনপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জিয়াউদ্দিন সিকদার বলেন, ‘পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে ত্যাগী ও মাঠের নেতাদের পদ পাওয়া উচিত। দলের দুর্দিনে যারা পাশে ছিলেন তাঁদের মুছে ফেলা গ্রহণযোগ্য হবে না।’

এ ব্যাপারে বিএনপির কেন্দ্রীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক আকন কুদ্দুসুর রহমান বলেন, ‘যুগ্ম আহ্বায়কের সঙ্গে আলোচনা না করার বিষয়টি উনি (বাবুল) আমাদের কাছেও বলেছেন। আশা করছিলাম সবাইকে নিয়ে আহ্বায়ক ও সদস্যসচিব কমিটি পূর্ণাঙ্গ করবেন। কিন্তু যেহেতু কেন্দ্র যুগ্ম আহ্বায়ককে সাইনিং পাওয়ার দিয়ে দিয়েছে, সেহেতু তাঁকে জিজ্ঞেস না করে কমিটি করতে পারবে না।’

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ