দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে কাঁচা মরিচের আমদানি বেড়ে যাওয়াই দুই দিনের ব্যবধানে প্রতি কেজিতে দাম কমেছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা। বন্দরে গতকাল পাইকারি কাঁচা মরিচ বিক্রি হয়েছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা, আর মঙ্গলবার বিক্রি হয়েছে ১০০ থেকে ১১০ টাকা।
ব্যবসায়ীরা জানান, দেশে বন্যায় ফসলের খেত নষ্ট হওয়ায় সরবরাহ সংকটে বাজারে কাঁচা মরিচের দাম হু হু করে বেড়ে যায়। বেশি লাভের আশার তাঁরা ভারত থেকে কাঁচা মরিচ আমদানি করে প্রথম কয়েক দিন লাভবান হলেও এখন লোকসানে পড়েছেন। বাজারে কাঁচা মরিচের সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় দাম কমতে শুরু করেছে। হিলি স্থলবন্দর দিয়ে প্রতিদিন ১০ থেকে ১২ গাড়ি কাঁচা মরিচ আমদানি হচ্ছে। বুধবার এবং গতকাল দুই দিন বন্দর দিয়ে প্রায় ১৩০ মেট্রিক টন কাচা মরিচ আমদানি হয়েছে।
কাঁচা মরিচ আমদানিকারক ইদ্রিস আলী মিঠু বলেন, ‘চাহিদার তুলনায় বন্দর দিয়ে কাঁচা মরিচ আমদানি বেশি হওয়ায় দাম কমতে শুরু করেছে। এ ছাড়া বাজারে কাঁচা মরিচের সরবরাহ বেড়েছে, দুই দিন আগে যে পরিমাণ চাহিদা ছিল—এখন আর তা নেই। দুই দিনে আমার লাভের চেয়ে লোকসানের পরিমাণ অনেকটা বেড়ে গেছে।’
কাঁচা মরিচ পাইকারি সরবরাহকারী মোস্তফা মিয়া বলেন, ‘আমদানি করা কাঁচা মরিচ প্রতি কেজি ৮০ টাকা দরে কিনে পাইকারি বিক্রি করতে হচ্ছে ৮৫ টাকা কেজি দরে। সব মিলিয়ে আমি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি।’
পানামা হিলি পোর্টের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রতাপ মল্লিক জানান, হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে কাঁচা মরিচের আমদানি বেড়েছে, প্রতিদিন বন্দর দিয়ে ছোট-বড় ১২ থেকে ১৩টি গাড়িতে মরিচ আমদানি হচ্ছে। আমদানি করা মরিচ বন্দর থেকে দ্রুত খালাস হয়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে চলে যাচ্ছে। তিনি ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে জানতে পেরেছেন, মরিচের আমদানি বেশি থাকায় দাম অনেকটা কমে এসেছে।