নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার নাজিরপুরে নন্দকুজা নদী দখল করে ভবন নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে এক ব্যাংক কর্মকর্তা ও তাঁর বন্ধুর বিরুদ্ধে। তাঁরা প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে ভবন নির্মাণকাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নাজিরপুর বাজারের পূর্ব পাশে বাঁশ ও কলা বাজারের পাশে নন্দকুজা নদী দখল করে পাকা ভবন নির্মাণ করছেন স্থানীয় অগ্রণী ব্যাংকের কর্মকর্তা বেল্লাল হোসেন ও তাঁর বন্ধু ব্যবসায়ী জহির রায়হান।
নাজিরপুর ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা গোপাল কুমার সিংহ বলেন, ‘অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তিনি উপস্থিত থেকে সার্ভেয়ারের মাধ্যমে জমি পরিমাপ শেষে সীমানা নির্ধারণ করে দিয়েছিলেন। কেউ আইন অমান্য করে দখল কাজে জড়িত থাকলে এর দায় তাঁদের। তবে তাঁদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া জন্য সহকারী কমিশনার ভূমি আবু রাশেল স্যারের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে।’
নাজিরপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান শওকত রানা লাবু বলেন, পরিষদের পক্ষ থেকে স্থাপনা নির্মাণ বন্ধ রাখতে বলা হলেও, তাঁরা অমান্য করে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। সচেতন মানুষদের নদী দখলের মতো এ ঘটনায় তিনি হতবাক।
জানতে চাইলে ব্যাংক কর্মকর্তা বেলাল হোসেন বলেন, স্থানীয় মমতাজ বেগম ও তাঁর পাঁচ বোনের কাছ থেকে গত বছর নাজিরপুর মৌজার ৮ দশমিক ২৫ শতাংশ জমি কেনেন দুই বন্ধু। তিনি তাঁর স্ত্রী মোছা নুর মোস্তাকিমা খাতুনের নামে এবং জহির রায়হান তাঁর স্ত্রী রুমা বেগমের নামে রেজিস্ট্রি করেছেন। তবে ভবন নির্মাণকাজের তদারকি করছেন তাঁরাই। তাঁরা নদী দখল করেননি।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আবু রাসেল বলেন, ‘অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে নদীর সীমানা ভেঙে ফেলার জন্য প্রাথমিকভাবে বেলাল হোসেনকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। তিনি নিজে দখলকৃত নদীর জায়গা ভেঙেনা ফেললে প্রশাসনিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জেলা প্রশাসকস্যারকে চিঠি দিয়ে বিষয়টিজানানো হয়েছে।’