শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে করোনার টিকা নিতে শিক্ষার্থীদের ছিল উপচে পড়া ভিড়। কিন্তু টিকাকেন্দ্রে স্বাস্থ্যবিধি প্রায় উপেক্ষিত। নেই সামাজিক দূরত্ব। অনেকের মুখেও নেই মাস্ক। শিক্ষার্থীরা সারিতে গাদাগাদি করে দাঁড়িয়েছে। কেবল শিক্ষার্থী নয়, অভিভাবকেরাও মানছেন না স্বাস্থ্যবিধি। এতে টিকাকেন্দ্র থেকে করোনাভাইরাস সংক্রমণের আশঙ্কা থাকছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কার্যালয়ে অস্থায়ী টিকাকেন্দ্রে শিক্ষার্থীদের করোনার টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। গত শনিবার থেকে উপজেলার বিভিন্ন মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের করোনার টিকা দেওয়া হয়। সরেজমিনে গতকাল সোমবার দেখা গেছে, শিক্ষার্থীরা মাস্ক থাকলেও তা পরছে না। মানছে না সামাজিক দূরত্ব। একই অবস্থা অভিভাবকদের মধ্যেও। হাসপাতালের সামনে সাধারণ জনগণ ও অভিভাবকদের ভিড় দেখা গেছে। একত্রে হয়ে গল্প করছে।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, সারিবদ্ধভাবে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে কোনো নিয়ম মানা হচ্ছে না। সবাই গা ঘেঁষে দাঁড়াচ্ছে। এতে কারও করোনা হয়ে থাকলে অন্যদের মধ্যেও তা সংক্রমিত হবে।
দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী রুবিনা জানায়, ‘টিকা দিতে দীর্ঘ সময় সারিতে আছি। তবে বেশি শিক্ষার্থী আসায় এই সমস্যা হয়েছে। অনেকে মাস্ক পরছে না। এ বিষয়ে সবাইকে সচেতন হতে হবে।’
এ বিষয়ে উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা হাসান ইবনে আমিন বলেন, ‘সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি শিক্ষার্থীদের মাস্ক পরার বিষয়ে সতর্ক করতে। শিক্ষার্থীদের মাস্ক পরতে অনীহা দেখা গেছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সার্বিক সহযোগিতা করে যাচ্ছেন। যদি শিক্ষকেরা আসতেন, তাহলে এ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা যেত।’