হোম > ছাপা সংস্করণ

ভাঙছে মাছের খামারের পাড় ঝুঁকিতে সড়ক-বসতভিটা

আলী আকবর সাজু, ভালুকা

ভালুকা উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অপরিকল্পিতভাবে খামার তৈরি করে মাছ চাষ করছেন মৎস্যচাষিরা। একাধারে দীর্ঘদিন একই জায়গায় মাছ চাষ করায় বাঁধ, সরকারি সড়ক ও বসতভিটা ভেঙে যাচ্ছে। অনেক ভুক্তভোগী এসব মেরামতের দাবি জানালেও মিলছে না কোনো প্রতিকার। এ অবস্থায় ভুক্তভোগী অনেকে বসতভিটা রক্ষার জন্য নিরুপায় হয়ে ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসক ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোয় লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন।

ভুক্তভোগী ও ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলার অনেক মৎস্যচাষি কৃষকের কাছ থেকে বিল ভাড়া নেন। তাতে বছরের পর বছর মাছের চাষ করছেন। এতে খামারের পাড় ভেঙে যায়। তবে তা মেরামতের কোনো উদ্যোগ না নিয়েই মাছ চাষ করছেন তাঁরা। ফলে সরকারি সড়ক ও বসতভিটা খামারে বিলীন হচ্ছে।

সরেজমিনে জানা গেছে, উপজেলার বাহির পাথর গ্রামে ২০ একর জায়গাজুড়ে মাছ চাষ করেছেন সুজন মিয়া। তিনি প্রতি কাঠা জমি বার্ষিক চার হাজার থেকে সাড়ে চার হাজার টাকায় চুক্তিবদ্ধ হয়ে ভাড়া নিয়েছেন। ১০ বছর ধরে তিনি মাছ চাষ করছেন। তবে খামারের পাড় মেরামত না করায় অনেক বাড়ি-ঘর ভেঙে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

জমির মালিক তাজ উদ্দিন আহম্মেদ তানভীর জানান, দীর্ঘ ১০ বছর ধরে এ বিলে মাছ চাষ করা হচ্ছে। বসতবাড়ির অনেকটা খামারের পেটে চলে গেছে। বারবার বলার তা মেরামত করছেন না। তিনি ১০ বছর ধরে বিলের ভাড়া টাকাও পাননি বলে অভিযোগ করেন।

এ বিষয়ে মাছচাষি সুজন মিয়া বলেন, ‘যে সব বসত বাড়ির পাড় ভেঙে গেছে, তা তিনি নিজ উদ্যোগে মেরামত করে দেবেন।’

মোহাম্মদ আলী, চান মিয়া ও শাহজাহানসহ অনেক কৃষকের বাড়ির পাড় ভেঙে খামারে চলে গেছে। এ ব্যাপারে ক্ষতিগ্রস্ত জমির মালিক তাজউদ্দিন আহম্মেদ তানভীর ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসক ও বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন বলে জানান তিনি।

এ দিকে ভালুকা পানাশাইল সড়কের খারুয়ালী এলাকায় জালাল উদ্দিন নামে এক খামারির মাছের খামারে রাস্তা দেবে গিয়ে যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে দ্রুত সড়কটি মেরামত করে যানচলাচল স্বাভাবিক করা হয়েছে। উপজেলার ভালুকা মেদিলা সড়কটির দুপাশে খামারের ভেঙে পড়ার উপক্রম হয়েছে। এসব সড়ক সংস্কারে সরকারের প্রতি বছর লাখ লাখ টাকা ব্যয় হচ্ছে। বগাজান-মল্লিকবাড়ী সড়কের দুই পাশে বিলে মাছ চাষ করায় সরকারি রাস্তাটি খামারে বিলীন হয়ে গেছে।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সালমা খাতুন বলেন, ‘অপরিকল্পিতভাবে মাছ চাষের কারণে যেসব এলাকায় সরকারি সড়ক ও বসতবাড়ির ক্ষতি হয়েছে, যে সব এলাকায় এগুলো হয়েছে, তা খোঁজ নিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ