হোম > ছাপা সংস্করণ

তারকারা আড়ালে থাকলেই ভালো

তিন বছর পর গত নভেম্বরে দেশে ফিরে দুটি সিনেমার ঘোষণা দিয়েছেন শাবনূর। একটি আরাফাত হোসাইনের ‘রঙ্গনা’, অন্যটি চয়নিকা চৌধুরীর ‘মাতাল হাওয়া’। গত শনিবার রাজধানীর ঢাকা ক্লাবে হয়ে গেল রঙ্গনার মহরত। সেখানে শাবনূর ঘোষণা দিলেন নতুন আরও এক সিনেমার নাম, সেই সঙ্গে কথা বললেন নিজের ক্যারিয়ার ও সমসাময়িক নানা প্রসঙ্গে। অনুলিখনে শিহাব আহমেদ

দূরে থাকার কারণ
সন্তানের ভালো পড়ালেখার জন্যই অস্ট্রেলিয়ায় যাওয়া। ক্যারিয়ারের তুঙ্গে থাকা অবস্থায় অস্ট্রেলিয়ায় যাই সন্তানের দিকে তাকিয়ে। ভেবেছি, আমার জীবনে অনেক কিছুই হয়েছে, এখন সন্তানের ভালো কিছু হোক।

বিরতির পর ফিরে আসা
শিল্পীদের জন্য কামব্যাক বলে কিছু নেই। শিল্পীর তো মৃত্যু হয় না। শিল্পীরা বেঁচে থাকেন কাজের মাধ্যমে। তাই আমার এই ফেরাকে কামব্যাক বলতে চাই না। যেকোনো সময় চরিত্র সাজিয়ে দিলে আমরা কাজ করতে পারব।

ফিট হওয়ার অপেক্ষায়
আমার প্রতি দর্শকদের একটা প্রত্যাশা আছে। কাছের মানুষেরাও বলছেন ফিট না হয়ে কাজ না করতে। তাই সময় নিচ্ছি। সিনেমাটি আরও আগেই শুরু করার কথা। প্রযোজককে ধন্যবাদ আমাকে সময় দেওয়ার জন্য। ক্যামেরার সামনে দাঁড়ানোর প্রস্তুতি নিচ্ছি। বেশি দিন আর হয়তো লাগবে না। দ্রুতই ফিরব। চেষ্টা করব এমনভাবে ফিরতে, যেন সবার পছন্দ হয় কাজটি। 

রঙ্গনার গল্প
এখন সিনেমার গল্পের ধরন পাল্টে গেছে। ১০ বছর আগে আমি যখন কাজ করতাম, সেই সময়টা এখন আর নেই। মানুষের চিন্তাধারা বদলে গেছে, অনেক এগিয়ে গেছে সবাই। আমি সৌভাগ্যবান; কারণ, তখনো কাজ করেছি, এখনো করছি। এই সময়ের গল্প নিয়ে তৈরি হয়েছে রঙ্গনার কাহিনি। আমার চরিত্রটিও ভিন্ন ধরনের। সবাই মিলে চেষ্টা করব একটি সুন্দর গল্পকে সঠিকভাবে ফুটিয়ে তুলতে।

সমালোচনার জবাব
প্রথম থেকেই রঙ্গনা নিয়ে তর্ক-বিতর্ক হয়েছে। আমাকেও অনেকে বলেছেন, এত দিন পরে এসে তুমি কী করবে? পরিচালকও মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন। পরিচালককে বলেছি, কর্ম করলে কেষ্ট মেলে। কাজের মাধ্যমে তোমাকে উত্তর দিতে হবে। ভালো কিছু করতে হলে এই প্রতিকূলতা ডিঙিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। 

নতুন পরিচালকের সঙ্গে কাজ 
বরাবরই আমি নতুন পরিচালকদের সঙ্গে কাজ করতে, তাদের সহযোগিতা করতে পছন্দ করি। অনেকের প্রথম সিনেমার নায়িকা আমি। নতুনদের উৎসাহ দেওয়া সিনিয়রদের উচিত বলেই মনে হয়। অস্ট্রেলিয়ায় থাকলেও নিয়মিত দেশের সিনেমা দেখি। নতুনদের কাজ আমাকে মুগ্ধ করেছে। 

আবারও শাকিবের সঙ্গে
শাকিব খান এখন সুপারস্টার। দোয়া করি সে আরও বড় হোক। আমরা খুব ভালো বন্ধু। এই ইন্ডাস্ট্রির জন্য ওর অনেক অবদান। ও অনেক কষ্ট করেছে, আমি নিজে দেখেছি। কাজের প্রতি সে সব সময় অনেক সিরিয়াস। সিরিয়াসনেসটা ধরে রেখেছে বলেই সে ভালো অবস্থানে। কোনো পরিচালক যদি ভালো গল্প নিয়ে আসে, তাহলে শাকিবের সঙ্গে আবারও কাজ হবে।

শিল্পীদের পর্দার আড়ালে থাকতে হয়
সোশ্যাল মিডিয়ায় তারকারা নিজেরাই নিজেদের কথা বলছেন। তাই তারকাদের ব্যক্তিগত জীবন সহজে মানুষের সামনে চলে আসছে। আমি মনে করি, তারকাদের পর্দার আড়ালে থাকতে হয়। সবাই আমাদের বড় পর্দায় দেখে। সাধারণ মানুষের স্বপ্নে আমাদের বাস। তাই তারকারা আড়ালে থাকলেই ভালো। 
 
এহতেশামের প্রতি কৃতজ্ঞতা
ইন্ডাস্ট্রি আমার কাছে ভালোবাসার জায়গা। ছোটবেলা থেকে এখানে কাজ করছি। অনেকে হয়তো জানেন না, ক্লাস এইটে থাকতেই আমি পুরোপুরি চিত্রনায়িকা। আমি এতই ছোট ছিলাম যে পরিচালকেরা আমাকে গালে তুলে ভাত খাইয়ে দিয়েছেন। প্রথম যখন কাজ করতে আসি, তখন সবাই আমাকে দেখে বলেছে, এই পিচ্চি কী কাজ করবে? এহতেশাম দাদু (পরিচালক) আমাকে এনেছিলেন ইন্ডাস্ট্রিতে। তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতার শেষ নেই। তাঁর জন্যই আমার শাবনূর হয়ে ওঠা। তিনি অন্য পরিচালকদের বলতেন, শাবনুরকে নাও, ও একদিন অনেক বড় হবে। তারা আমাকে নিয়ে কাজ করেছেন। আমার সব পরিচালক ও প্রযোজকের প্রতি কৃতজ্ঞতা।

নতুন সিনেমার ঘোষণা 
আমি থেমে যেতে চাই না। চেষ্টা করব আরও কাজ করার। রঙ্গনার পরে আরাফাতের পরিচালনায় নতুন আরেকটি সিনেমার কাজ শুরু করার পরিকল্পনা করছি। নাম ‘এখনো ভালোবাসি’।

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ