হোম > ছাপা সংস্করণ

ইভিএম প্রকল্প: সূচিতে নেই তবু প্রস্তুতি

আবু সাইম, ঢাকা

বিতর্ক সত্ত্বেও নির্বাচন কমিশন (ইসি) আগামী জাতীয় নির্বাচনে ১৫০ আসনে ভোট নিতে চায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন বা ইভিএমে। নতুন ইভিএম, গাড়িসহ প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম কিনতে পৌনে ৯ হাজার কোটি টাকার প্রকল্পেরও অনুমোদন চাইছে তারা। অর্থনৈতিক সংকটের এই সময়ে বড় অঙ্কের বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয়ের প্রকল্পটির দ্রুতই অনুমোদন চায় ইসি। সেই অনুমোদনের প্রক্রিয়া নিয়েও চলছে লুকোচুরি।

পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে জানা গেছে, আজ মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় ইভিএম প্রকল্প অনুমোদনের জোর চেষ্টা চলছে। যদিও সভার আলোচ্যসূচিতে প্রকল্পটি রাখা হয়নি। এই প্রকল্প নিয়ে এখনো মূল্যায়ন কমিটির কোনো সভাও হয়নি। তাই এটি একনেকে তোলার সম্ভাবনা অনেক কম। বিশেষ বিবেচনায় প্রয়োজন হলে সভায় সরাসরি উপস্থাপনের প্রস্তুতিও নিয়ে রেখেছে পরিকল্পনা কমিশন।

সূত্রমতে, প্রকল্পের ওপর পর্যবেক্ষণসহ সারসংক্ষেপ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে সায় পেলে প্রকল্পটি একনেক সভায় সরাসরি উপস্থাপন করা হতে পারে।

প্রকল্পটি দেখভালের দায়িত্বে থাকা পরিকল্পনা কমিশনের আর্থসামাজিক অবকাঠামো বিভাগের সদস্য মোসাম্মৎ নাসিমা বেগম আজকের পত্রিকাকে বলেন, 
এমন পর্যায়ে থাকা প্রকল্প সাধারণত একনেকে ওঠে না। তবে প্রধানমন্ত্রী চাইলে ব্যতিক্রম হতে পারে।

পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান অবশ্য বলেছেন, প্রকল্পটি আজ একেনেকে উঠবে না। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘যেহেতু পিইসি সভা হয়নি, তাই আজ অনুমোদন হওয়ার প্রশ্নই ওঠে না।’

ইসি গত বছরের অক্টোবরে ৮ হাজার ৭১১ কোটি ৪৪ লাখ টাকার ইভিএম প্রকল্পের প্রস্তাব পাঠায় পরিকল্পনা কমিশনে। এতে দুই লাখ সেট ইভিএম কেনার কথা বলা হয়। ‘নির্বাচনী ব্যবস্থায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) ব্যবহার বৃদ্ধি এবং টেকসই ব্যবস্থাপনা’ নামের প্রকল্পের পুরো টাকা দেবে সরকার। ইভিএম কিনতেই আগামী এক বছরে খরচ হবে ৬ হাজার ৬৬০ কোটি ২৯ লাখ টাকা।

রাত পর্যন্ত দফায় দফায় বৈঠক 
পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে জানা গেছে, ইসি সচিবালয়ের চাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতেই সপ্তাহখানেক ধরে প্রতিদিন দফায় দফায় বৈঠক হয় পরিকল্পনা কমিশনে। নির্ধারিত সময়ের পরও রাত পর্যন্ত সংশ্লিস্ট কর্মকর্তারা এটি নিয়ে বৈঠক করেছেন। একই অবস্থা দেখা গেছে গতকাল সোমবারও। তবে স্পর্শকাতরতা বিবেচনায় প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) কোনো সভার তারিখ দিতে পারেনি আর্থসামাজিক অবকাঠামো বিভাগ। কয়েকবার পরিকল্পনামন্ত্রীর কাছে সভার সময় চেয়ে পাঠানো হলেও মন্ত্রী অসুস্থ হয়ে বেশ কয়েক দিন হাসপাতালে থাকায় পিইসি সভার কোনো তারিখ পড়েনি, সভাও হয়নি। 

সায় পেলে সরাসরি উপস্থাপন
সূত্রমতে, পরে আর্থসামাজিক বিভাগ থেকে প্রকল্পের ওপর পর্যবেক্ষণসহ সারসংক্ষেপ পরিকল্পনামন্ত্রীর কাছে পাঠনো হলে মন্ত্রণালয় থেকে তা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো হয়। তাই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সায় পেলে প্রকল্পটি একনেক সভায় সরাসরি উপস্থাপন করা হতে পারে। এ জন্য কমিশন প্রাথমিক প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে।

পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য মোসাম্মৎ নাসিমা বেগম গতকাল বলেন, ‘আগামীকাল এটি একনেকে উঠবে কি না, এটা সরকারপ্রধানই বলতে পারেন। আমাদের কাছে এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো নির্দেশনা আসেনি। সাধারণত পিইসি সভার পর কমপক্ষে এক সপ্তাহ সময় থাকে আলোচনার, বিভিন্ন বিষয় বাস্তবায়নের জন্য। এ প্রকল্পের ক্ষেত্রে পিইসি সভাও হয়নি।’

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ