হোম > ছাপা সংস্করণ

বেশির ভাগই আগের দামে স্বস্তি ফিরছে পেঁয়াজে

বগুড়া প্রতিনিধি

বগুড়ায় এক সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার পরিস্থিতি বদলায়নি। বেশির ভাগ দ্রব্যের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। তবে পেঁয়াজের দাম কমে আগের অবস্থানে ফিরেছে। নতুন পেঁয়াজ বাজারে আসায় দাম কমেছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

এদিকে সয়াবিন তেলের সরবরাহ কম থাকায় বেশি দাম দিয়ে কিনছেন দোকানিরা। তাই বেশি টাকায় তাঁরা বিক্রি করছেন বলে জানিয়েছেন।

গতকাল শুক্রবার বগুড়া শহরের রাজাবাজার, পীরগাছা, পল্লীমঙ্গল, যশোপাড়া বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে সবজির দাম গত সপ্তাহের মতো একই রকম আছে। তবে পেঁয়াজের দাম কমেছে। মান ভেদে প্রতি কেজি পেঁয়াজ পাওয়া যাচ্ছে সর্বনিন্ম ২৫ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৫০ টাকা পর্যন্ত। গত সপ্তাহে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৭০ থেকে ৭৫ টাকায়।

পল্লীমঙ্গল হাটের সবজি বিক্রেতা আলামিন বলেন, বাজারে নতুন পেঁয়াজ এসেছে। তাই দাম কমতে শুরু করেছে।

বাজারে মানভেদে প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ১৩ থেকে ২০ টাকায়, যা গত সপ্তাহে ছিল ১২ টাকা কেজি। শিম বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজি। কাঁচা মরিচের দাম ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজি। গত সপ্তাহে এগুলোর দাম একই রকম ছিল।

সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজি গাজর এখনো বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়। একটি বাঁধাকপি বিক্রি হচ্ছে ১৫-২৫ টাকায়, ফুলকপির দাম হয়েছে ২০ থেকে ৩০ টাকা প্রতিটি। টমেটো ৩০ টাকা কেজি।

এ ছাড়া বেগুন কেজিতে বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা এবং করলা ১০০ থেকে ১২০ টাকা কেজিতে। গত সপ্তাহে দাম একই রকম ছিল। দাম বেড়েছে সব রকম শাকের। ডাঁটাশাক ২০ থেকে ৩০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। লালশাকের দাম ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি।

পীরগাছা হাটের সবজি ব্যবসায়ী সৌরভ ইসলাম বলেন, গরমকালে সবজির সরবরাহ কম থাকে। তাই দাম একটু বাড়তিই থাকবে এই সিজনে।

এদিকে এক লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ১৮০ থেকে ১৯০ টাকা। খোলা তেল বিক্রি হচ্ছে ১৭০ টাকায়।

কমেনি সরিষার তেলের দামও। প্রতি কেজি সরিষার তেলের দাম এখন ২০০ টাকা। গত সপ্তাহেও একই দামে বিক্রি হয়েছে খোলা সয়াবিন তেল।

ডালের দাম অপরিবর্তিত আছে। মসুর ডাল (মোটা) বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা এবং (চিকন) ডালের দাম ১২০ টাকা কেজি। বুটের ডাল গত সপ্তাহের মতোই ৮০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। আর আটার (প্যাকেটজাত) কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৮ টাকায়।

দাম কমেনি গরুর মাংস এবং পোলট্রি মুরগিরও। গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৬০০ টাকা কেজিতে। দুই সপ্তাহ আগে যার দাম ছিল ৫৫০ টাকা। আর পোলট্রি মুরগির দাম প্রতি কেজি ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা।

পল্লীমঙ্গল বাজারে আসা সবজির ক্রেতা ফারুক মণ্ডল বলেন, ‘বাজারে জিনিসপত্রের যা দাম, তাতে মধ্যবিত্ত, নিম্নবিত্তদের খুব খারাপ অবস্থা। সাধারণভাবে জীবনযাপনও কঠিন হয়ে যাচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে না খেয়ে থাকতে হবে অনেকেরই।’

পল্লীমঙ্গল বাজারের মুদিদোকানি আপেল মিয়া বলেন, ‘সয়াবিন তেলের সরবরাহ কম। দাম বেশি দিয়েই কিনি আমরা। বেচতেও হয় বেশি টাকায়।’

যশোপাড়া বাজারের পোলট্রি মুরগির বিক্রেতা স্বপন বলেন, মুরগির বাচ্চা, খাবার এবং ওষুধের দাম বেশি হওয়ায় মুরগির দাম বেড়েছে।

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ