তৃতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে বগুড়ার ধুনটে প্রিসাইডিং কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ভোট গণনায় কারচুপির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই ঘটনায় সংবাদ সম্মেলন করেছেন গোঁসাইবাড়ি ইউপির ৮ নম্বর ওয়ার্ডে সাধারণ সদস্য পদে পরাজিত প্রার্থী ইউনুছ আলী। গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ৩টার দিকে ধুনট প্রেসক্লাবে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ইউনুছ আলী বলেন, ‘২৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিত নির্বাচনে আমি তালা প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করি। একই পদে আরও ৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। নির্বাচনে নাটাবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসারের দায়িত্বে ছিলেন জি এম সি ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক জিয়াউর রহমান। ভোটগ্রহণের পর গণনার সময় তিনি আমার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আব্দুল বারী আকন্দের (টিউবওয়েল প্রতীক) সঙ্গে যোগসাজশ করে তাঁর বাতিল ভোটগুলো বৈধ হিসেবে গণনা করেন।’
ইউনুছ আলী বলেন, ‘আমার এজেন্ট মোস্তাক হোসেন প্রতিবাদ করে ভোট পুনঃগণনার দাবি জানালে তাঁকে পুলিশ দেওয়ার ভয়ভীতি দেখানো হয়। তড়িঘড়ি করে ভোটের ফলাফল ঘোষণা করেন প্রিসাইডিং কর্মকর্তা। নির্বাচনের ফলাফলে টিউবওয়েল প্রতীকে ৮০৮ ভোট এবং তালা প্রতীকে ৮০৬ ভোট ধরে আমাকে ২ ভোটে পরাজিত ঘোষণা করা হয়েছে। ফলাফলের কাগজে আমার এজেন্টের স্বাক্ষরও নেওয়া হয়নি।’
সংবাদ সম্মেলনে ইউনুছ আলী আরও বলেন, ‘ভোট পুনরায় গণনার দাবি জানিয়ে আমি রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেছি। কিন্তু তিনি ভোট পুনরায় গণনা করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। আমি সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে পুনরায় আমার ওয়ার্ডের ভোট গণনার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানাচ্ছি।’
প্রিসাইডিং অফিসার জিয়াউর রহমান জানান, ভোট কারচুপি অভিযোগ ভিত্তিহীন।
গোঁসাইবাড়ি ইউপির রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল কাফী জানান, ভোট গণনার পর সিলগালা করা হলে সেগুলো আর পুনরায় গণনার সুযোগ নেই। নির্বাচন কমিশন এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত দিতে পারে। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে নির্বাচন ট্রাইব্যুনালের কোর্টে ভোট পুনঃগণনার জন্য আবেদন করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।