দরিদ্র ও হতদরিদ্রদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে ১০০ টাকায় চিকিৎসাসেবা দেন তিনি। টাকা না থাকলে বিনা মূল্যে লিখে দেন ব্যবস্থাপত্র। আবার ব্যবস্থাপত্র লেখার পর টাকা না থাকলে নিজের টাকায় কিনে দেন ওষুধ।
বলছিলাম ৩৯তম বিসিএস (স্বাস্থ্য) উত্তীর্ণ ডা. মাহামুদুল ইসলাম মামুন চৌধুরীর কথা। তাঁর লক্ষ্য একটাই, গরিব বলে কেউ যেন চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত না হয়। তাই এলাকায় মানবতার চিকিৎসক হিসেবে পরিচিতি পাচ্ছেন তিনি।
ডা. মামুন রাউজানের কদলপুর ইউনিয়নের ইদ্রিস খান চৌধুরী বাড়ির মৃত নূর মোহাম্মদ চৌধুরীর ছেলে। সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজে থেকে ২০১৫ সালে এমবিবিএস এবং ২০১৭ সালে বিসিএস (স্বাস্থ্য) পাস করেন।
বর্তমানে তিনি চট্টগ্রামের জেনারেল হাসপাতালে কর্মরত। বাবার স্বপ্ন ছিল ছেলে প্রকৌশলী হবে, কিন্তু মায়ের স্বপ্ন ছিল চিকিৎসক হবে। তিনি মায়ের স্বপ্ন পূরণ করেছেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও সরব মামুন। রয়েছে নিজের নামে ফেসবুক পেজ ও ইউটিউব চ্যানেল। প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে সেখানে স্বাস্থ্য সচেতনতামূলক ভিডিও আপলোড করেন।
ডা. মামুন কাছে চিকিৎসা নিতে আসা জাহানারা বেগম নামে এক নারী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মামুন খুব ভালো ডাক্তার। অনেকক্ষণ দেখে ওষুধ লেখেন। মাত্র ১০০ টাকা নেন। আমি হৃদ্রোগ ও ডায়াবেটিসের রোগী। এখন মামুন ডাক্তারের ওষুধ খেয়ে ভালো আছি।’
মো. হেলাল বলেন, ‘আমাদের গ্রামে ডাক্তার মামুনের সুনাম ছড়িয়ে পড়েছে। কম টাকায় তিনি রোগী দেখেন। কারও কাছে টাকা না থাকলে নিজের টাকায় ওষুধ কিনে দেন।’
ডা. মাহামুদুল ইসলাম চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান। গ্রামে বড় হয়েছি। মানুষের দুঃখ-কষ্ট দেখেছি। অনেকজনকে দেখেছি টাকার অভাবে চিকিৎসা করাতে পারেন না। এ কারণে রোগব্যাধি বড় আকার ধারণ করে। বিষয়গুলো দেখে ব্যথিত হতো মন। তাই গ্রামে গরিব ব্যক্তিদের চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছি। গ্রামের নারী-পুরুষ রোগীরা আমার কাছে আসছেন। অনেকে আবার বাড়িতেও আসেন। সাধ্যমতো চেষ্টা করছি পাশে থাকার।’