করোনার নতুন ধরন ওমিক্রনে এখনো কেউ মারা না গেলেও সংক্রমণে বেশ ঊর্ধ্বগতি দেখা যাচ্ছে। প্রথমবার শনাক্তের ১৫ দিনও পার হয়নি, এরই মধ্যে ৩৮টির বেশি দেশে এ ধরন পাওয়া গেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) ভরসার পরও তাই সতর্ক পায়ে এগোচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। এখনো তাঁরা বেশ কিছু জটিল প্রশ্নের পরিষ্কার উত্তর পাচ্ছেন না।
সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ান বলছে, নতুন ধরনে তিনটি প্রশ্নের উত্তর জানা থাকতে হয়। এগুলো হলো সংক্রমণের যোগ্যতা কেমন, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করা অ্যান্টিবডি ও টি-সেলকে টেক্কা দিয়ে দেহে ছড়িয়ে পড়ার ক্ষমতা কেমন এবং কাউকে আক্রান্ত করলে গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি কিংবা মৃত্যুর ঝুঁকি কতটা। একটি প্রশ্নেরও উত্তর জানতে পারেননি বিজ্ঞানীরা।
যদিও প্রথম প্রশ্নের উত্তর এখন প্রায় সবারই জানা। যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম শনাক্তের কয়েক দিনের মধ্যেই ১২টি অঙ্গরাজ্যে ছড়িয়ে গেছে ওমিক্রন। এমনকি স্থানীয় সংক্রমণের তথ্য প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়া। উচ্চ সংক্রামক হিসেবে ধরে নিলেও এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রোল্যান্ড কাও বলেন, পরিস্থিতি খুবই সূক্ষ্মভাবে পর্যবেক্ষণ করতে হবে। অবস্থা কোন দিকে যাবে, তা বলা যাচ্ছে না।
বেলজিয়ামের লুভেন বিশ্ববিদ্যালয়ের টম উইনসেলার বলেন, ডেলটার চেয়ে ৩-৬ গুণ বেশি মানুষকে আক্রান্ত করবে ওমিক্রন। তবে ওমিক্রন নিয়ে গবেষণা এখনো প্রাথমিক পর্যায়েই রয়েছে। কেবল ব্রিটেন এবং দক্ষিণ আফ্রিকায় চলছে পর্যবেক্ষণ।