বিশ্বনাথ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বেড়েছে জ্বর, সর্দি-কাশি, শ্বাসকষ্ট ও ডায়রিয়াসহ নানা রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। এদের মধ্যে বিভিন্ন বয়সী নারী ও শিশুর সংখ্যাই বেশি। বহির্বিভাগে প্রতিদিন ৩০০ থেকে ৪০০ রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন। ভর্তি হচ্ছেন গড়ে ২৫-৩০ জন।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, গত এক সপ্তাহ ধরে হঠাৎ করে অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে রোগীর সংখ্যা। এই সংখ্যা স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় দ্বিগুণ বলে জানালেন সংশ্লিষ্টরা।
গত রোববার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা গেছে, চিকিৎসাসেবা নিতে আসা মানুষের দীর্ঘ সারি। এদের মধ্যে নারী ও শিশুদের সংখ্যাই বেশি। তাঁদের সেবা দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা। দেওয়া হচ্ছে ওষুধও। অধিকতর জটিল রোগীদের ভর্তি রাখা হচ্ছে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে।
জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে চিকিৎসা নিতে আসা রাবেয়া বেগম ও সাফিয়া বেগমের সঙ্গে কথা হয়। তাঁরা জানান, গত দুদিন ধরে প্রচণ্ড জ্বর, শ্বাসকষ্ট ও শরীর ব্যথায় ভুগছেন। আজ তাঁরা চিকিৎসা নিতে এসেছেন।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি ফটোসাংবাদিক শফিকুল ইসলাম শফিক জানান, জ্বর আর গলা ও পেট ব্যথা নিয়ে তিনি তিন দিন হাসপাতালে ভর্তি আছেন। চিকিৎসা নিয়ে এখন কিছুটা সুস্থ বোধ করছেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আবদুর রহমান মুসা বলেন, ‘আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে বিভিন্ন ধরনের রোগজীবাণুতে আক্রান্ত হয় মানুষ। শীতের শুরুতে সারা দেশেই রোগীর সংখ্যা একটু কম হয়। শীতের প্রকোপ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ে রোগীর সংখ্যা। প্রতিদিন পর্যাপ্ত ওষুধ সরবরাহসহ শতাধিক রোগীকে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে। যাঁরা বেশি অসুস্থ তাঁদের ভর্তি রেখে চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করছি আমরা। পাশাপাশি করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে ভ্যাকসিন প্রদান কার্যক্রম নিয়মিত চালু রয়েছে।’