হোম > ছাপা সংস্করণ

ময়মনসিংহে ধান কাটা নিয়ে দুশ্চিন্তায় কৃষক

ইলিয়াস আহমেদ, ময়মনসিংহ

ময়মনসিংহে আমনের বাম্পার ফলন হয়েছে। দামও ভালো। তারপরও দুশ্চিন্তায় কৃষকেরা। কেননা মাঠের পাকা ধান কাটার শ্রমিক সংকট। কিছু শ্রমিক পাওয়া গেলেও তাঁরা বেশি টাকা চাচ্ছেন। তাই কৃষকেরা পর্যাপ্তসংখ্যক ধানকাটার যন্ত্র সহজ শর্তে দেওয়ার দাবি জানান।

ময়মনসিংহ কৃষি অফিস বলছে, ইতিমধ্যে ৩০ শতাংশ ধান কাটা হয়েছে। জেলায় আমন ধান কাটার জন্য অর্ধেক মূল্যে কৃষকদের কাছে ১৮৭টি কম্বাইন হারভেস্টার এবং ২৯টি রিপার যন্ত্র বিক্রি করা হয়েছে। কৃষকেরা বড় ধরনের দুর্ভোগ ছাড়াই ধান কেটে গড়ে তুলতে পারবেন।

কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, জেলায় এবার ২ লাখ ৬৮ হাজার ৪৩৫ হেক্টর জমিতে আমনের আবাদ হয়েছে, যা গত বছরের লক্ষ্যমাত্রার কিছুটা বেশি। মৌসুম শুরুর সময় খরার কারণে আমন রোপণে কিছুটা সমস্যা হলেও পরে কৃষি বিভাগের সার্বিক তত্ত্বাবধানে সেচের মাধ্যমে তা কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হন কৃষকেরা।

সিত্রাংয়ের প্রভাবে দেশের বিভিন্ন জায়গায় আমনের ক্ষতি হলেও ময়মনসিংহে তা হয়নি। যে কারণে কৃষক আমনের বাম্পার ফলন পেয়েছেন। তাঁরা যাতে কোনো কারণে ক্ষতিগ্রস্ত না হন, সে জন্য সরকার সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে ধান ক্রয় করছে বলে জানিয়েছেন কৃষিসংশ্লিষ্টরা।

তারাকান্দা উপজেলার বালিয়া গ্রামের কৃষক আব্দুর রশিদ বলেন, ‘গত বছর ভালো দাম পেয়ে এ বছর পাঁচ একর জমিতে আমন আবাদ করেছি। খেতে ধানের ফলনও ভালো হয়েছে। রোপনের আগে বৃষ্টি না হওয়ায় আমরা কিছুটা হতাশ ছিলাম। পরে শঙ্কা কাটিয়ে রোপণ করতে সক্ষম হই। তবে এবার রোপণ খরচ অনেক বেশি। এখন ধান কাটার শ্রমিক সংকট দেখা দিয়েছে। শ্রমিক পেলেও ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা রোজ দিতে হচ্ছে। এক কাঠা জমিতে সর্বোচ্চ ধান হয় পাঁচ মণ। আমাদের খরচ হয়েছে ৩ থেকে সাড়ে ৩ হাজার টাকা।প্রতিমণ ধান আমরা বিক্রি করতে পারছি ১২০০ থেকে ১৪০০ টাকা।’

ত্রিশাল উপজেলার কাঠাকালী গ্রামের শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘কৃষি হচ্ছেই আমাদের মূল পেশা। ধান আবাদ করে না পোষালেও বাধ্য হয়েই তা করতে হয়। শ্রমিকের মজুরি বেশি হওয়ায় আমাদের ধান চাষ করতে খুব সমস্যা হচ্ছে। আমন ও বোরো মৌসুমে শ্রমিকের ব্যাপক সংকট থাকে। কমপক্ষে ৭০০ টাকা দৈনিক দিয়ে খাবার বাবদ এক থেকে দেড় কেজি চালও দিতে হয়।’

কৃষক হাবিবুর রহমান বলেন, ‘ধানের ফলন খুব ভালো হয়েছে। এবার সারের দাম কিছুটা কম ছিল। তবে ডিজেলের দাম বাড়ায় আমাদের খরচ বেশি হয়েছে। তবে শ্রমিক সংকট বেশি। তাই কিছু শ্রমিক নিয়ে নিজেরাই ধান কাটার চেষ্টা করছি। কৃষি বিভাগ যদি আমাদের এলাকায় সহজ শর্তে ধান কাটার কিছু যন্ত্র দিত, তাহলে ভালো হতো। এই এলাকার কৃষক উপকৃত হতো।’

ময়মনসিংহ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. মতিউজ্জামান বলেন, জেলায় ২ লাখ ৬৮ হাজার ৪৩৫ হেক্টর জমিতে এবার আমনের আবাদ হয়েছে। ইতিমধ্যে ৩০ শতাংশ ধান কাটা হয়েছে। আগামী ১৫-২০ দিনের মধ্যে সব ধান কাটা হবে। শ্রমিক সংকটের কথা স্বীকার করে তিনি আরও বলেন, জেলায় আমন ধান কাটার জন্য অর্ধেক মূল্যে কৃষকদের কাছে ১৮৭টি কম্বাইন হারভেস্টার এবং ২৯টি রিপার যন্ত্র বিক্রি করা হয়েছে। এতে কৃষকেরা বড় ধরনের দুর্ভোগ ছাড়াই ধান কেটে ঘরে তুলতে পারবেন।

সরকারের কাছে কৃষকেরা নিয়ম অনুযায়ী ধান বিক্রি করতে পারলে তাঁরা লোকসানে পড়বেন না বলেও জানান এই কর্মকর্তা।

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ