বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে কটূক্তি করায় অভিযোগ ওঠা বগুড়ার শেরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবীব আম্বীয়া দলীয় পদ থেকে অবশেষে পদত্যাগ করেছেন। গত রোববার রাত ১০টার দিকে বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবর রহমানের কাছে তাঁর পদত্যাগপত্র পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য অ্যাডভোকেট গোলাম ফারুক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
কয়েক দিন আগে আহসান হাবীব আম্বীয়ার একটি অডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। সেখানে শোনা যায়, সুষ্ঠু নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগ সারা দেশে ৩০ টির বেশি আসন পাবে না বলে তিনি (আহসান হাবীব আম্বীয়া) মন্তব্য করেন। আরেক জায়গায় তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর মাজার ভ্রাম্যমাণ করে ঘুরে বেড়ালেও মানুষ নৌকায় ভোট দেবে না। এ ছাড়া ওই অডিওতে দলীয় বিভিন্ন গোপন সিদ্ধান্ত ও কৌশল সম্পর্কেও তাঁকে মন্তব্য করতে শোনা যায়।
ভাইরাল হওয়া অডিও সম্পর্কে আম্বীয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গত ইউপি নির্বাচনে শফিকুল ইসলাম রাঞ্জু খানপুর ইউনিয়নে দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে নির্বাচন করেছেন। এজন্য তাঁকে বহিষ্কারও করা হয়। এখন তাঁরই কিছু ভাড়াটে লোক আমার বিরুদ্ধে মিছিল করছে। তাঁরা আমার নামে একটি মিথ্যা অডিও রেকর্ড প্রকাশ করে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। আমি কোথাও কোনো কটূক্তি করি নাই।’
তবে এ নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। দলের একাংশের নেতা কর্মীরা বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। তাঁর অপসারণের দাবিতে ২৬ নভেম্বর কয়েক শ নেতা কর্মী শেরপুরের মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। এ ছাড়া একই দাবিতে তাঁর কুশপুত্তলিকা দাহসহ বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ অব্যাহত থাকে। অবশ্য ব্যক্তিগত পর্যায়ে আলাপচারিতা রেকর্ড করে ফাঁস করাকে অন্যায় বলে দাবি করেছেন কেউ কেউ। অবশেষে গত রোববার রাতে আম্বীয়া নিজে থেকেই উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন।
পদত্যাগের কারণ জানতে আহসান হাবীব আম্বীয়ার সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাঁর মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। তবে শারীরিক অসুস্থতা ও পারিবারিক সমস্যার কারণে তিনি পদত্যাগ করেছেন বলে তাঁর পরিবারের সদস্যরা জানান।