করোনাকালে বরই চাষ করে সফলতার মুখ দেখেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থী নুর ইসলাম। তিনি জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার ঝামুটপুর গ্রামের মোস্তাফিজুর রহমানের ছেলে। ঢাবির বাংলা বিভাগের স্নাতক (সম্মান) দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী তিনি।
জানা গেছে, আগে থেকেই বাগান করার দিকে ঝোঁক ছিল নুর ইসলামের। পরে অনলাইনে কৃষি বিষয়ক বিভিন্ন প্রতিবেদন দেখে বরই চাষে আগ্রহী হয়ে ওঠেন। এরই মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক বন্ধুর সঙ্গে তাঁর গ্রামের বাড়ি ঝিনাইদহের মহেশপুরে বেড়াতে যান। সেখানে বরই বাগান দেখে আরও বেশি উদ্বুদ্ধ হন। পরে আরও বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে বরই বাগান করার বিষয়ে খোঁজখবর নেন।
গত বছরের এপ্রিল মাসে নিজ গ্রাম ঝামুটপুরে এসে এক একর জমিতে বাগান করার কাজ শুরু করেন। প্রথমে ৫০টি চারা লাগান। কিছুদিন পর চুয়াডাঙ্গা থেকে বল সুন্দরী ও কাশ্মীরিসহ ৩০০টি বরই গাছের চারা রোপণ করেন। পাশাপাশি উন্নত জাতের গোল্ডেন-৮ জাতের পেয়ারা চারা রোপণ করেন। এ ছাড়াও বাগানে রয়েছে বারি মাল্টা, বীজবিহীন লেবু ও পেঁপে গাছ। আগাম জাতের টক বরইয়ের ফলন ইতিমধ্যে পাওয়া গেছে। প্রথমবারের মতো গাছে যে পরিমাণ বরই ধরেছে তা বিক্রি করে প্রায় তিন লাখ টাকার মতো আয় করার আশা করছেন নুর ইসলাম। ইতিমধ্যে প্রায় দেড় লাখ টাকার বরই ও পেয়ারা বিক্রি করেছেন বলে জানান তিনি।
নুর ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এই জাতের বরই গাছে বছরে তিনবার ফুল আসলেও তৃতীয়বার অর্থাৎ সেপ্টেম্বর মাসের দিকে আসা ফুলেই একমাত্র ফল ধরে। পাঁচ বছর পর্যন্ত ফলন পাওয়া যায়। প্রতিটি গাছ থেকে সর্বোচ্চ ২৫ কেজি পর্যন্ত বরই পাওয়া যায়।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নীলিমা জাহান ঢাবি শিক্ষার্থী নুর ইসলামের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে প্রত্যেককে অবসরে উৎপাদনশীল কাজে নিজেকে সম্পৃক্ত করার আহ্বান জানান।