পাবনার ঈশ্বরদীতে একদিনে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীসহ দুজনের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। দাম্পত্যকলহের কারণে দুজন আত্মহত্যা করেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। উদ্ধারের পর গতকাল শুক্রবার সকালে লাশ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শহরের পৃথক দুটি এলাকা থেকে দুজনের লাশ উদ্ধার করে থানায় আনে পুলিশ।
ওই দুজন হলেন ঈশ্বরদী শহরের পশ্চিম টেংরি বাবুপাড়া রেলকলোনির এলাকার বাসিন্দা সোহেল আফ্রিদি (২৩)। সে ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। অপরজন শহরের রহিমপুর এলাকার বাসিন্দা মনির হোসেন (১৮)।
স্থানীয় লোকজন জানায়, বৃহস্পতিবার দুপুরে আফ্রিদিকে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় শাড়ি পেঁচানো অবস্থায় ঝুলতে দেখেন পরিবারের সদস্যরা। আপর দিকে বিকেল ৫টার দিকে মনিরকে তাঁর শোয়ার ঘরে আড়ার সঙ্গে ফাঁস লাগানো অবস্থায় ঝুলতে দেখেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা। খবর পেয়ে ঈশ্বরদী থানা-পুলিশ সন্ধ্যার মধ্যেই দুজনের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
পরিবারের বরাত দিয়ে ঈশ্বরদী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মাসুম জানান, ২০১৬ সালের প্রেমের বিয়ে থেকে স্ত্রীর সঙ্গে আফ্রিদির সম্পর্কের টানাপোড়েন চলছিল। দীর্ঘদিন থেকে ওই কলহের কারণে হয়তো তিনি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করতে পারেন।
অপরদিকে মনিরের ব্যাপারে উপপরিদর্শক মাসুম জানান, ঢাকায় থাকা অবস্থায় মোবাইলে একটি মেয়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এর প্রায় দুই সপ্তাহের মধ্যে তিনি ওই মেয়েকে ঢাকা থেকে বিয়ে করে ঈশ্বরদীর বাসায় নিয়ে আসেন। বিয়ের এক সপ্তাহের মধ্যেই তাঁদের মধ্যে শুরু হয় কলহ। দুই দিন আগে স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া করে তাঁর স্ত্রী বাবার বাড়িতে চলে যান। পরিবারের ধারণা, ওই কলহের কারণে অভিমানে সে আত্মহত্যা করেন।