হাসনা বেওয়ার স্বপ্ন ছিল একটি ঘরের। এ জন্য আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায়ের ঘর বরাদ্দের শেষে তিনি ছুটে যান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয়ে। কিন্তু বরাদ্দ না থাকায় তাঁর ভাগ্যে ঘর মেলেনি। তবে তৃতীয় পর্যায়ে ঘর বরাদ্দ হওয়ার আগেই গত শনিবার বিকেলে ইউএনও মো. মাহবুবুর রহমান ছুটে যান হাছনার বাড়িতে। এ সময় ঘর দেওয়ার আশ্বাস দেন তিনি।
চিলমারী উপজেলার রমনা মডেল ইউনিয়নের বাঁধের ধারে কয়েক বছর থেকে এক মেয়ে ও নাতিকে নিয়ে অনেক কষ্টে থাকছেন হাছনা। এবার ঘর বরাদ্দ পাওয়ার খবরে তাঁর মুখে ফুটেছে হাসি, দেখছেন সুখের স্বপ্ন।
হাছনা বলেন, ‘অনেক কষ্টে আছি বাঁধের ধারে। এখন ইউএনও স্যার আমাকে ঘর দেওয়ার কথা বলেছেন। এতে আমি অনেক খুশি। আমাদের মতো মানুষের দেখার মতো এখনো অনেক ভালো মানুষ আছে। আল্লাহ তাঁদের যেন ভালো রাখেন।’
এ বিষয়ে ইউএনও মো. মাহবুবুর রহমান জানান, ‘আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের তৃতীয় পর্যায়ের আওতায় ১২০টি ঘর বরাদ্দ পেয়েছি। বাঁধে আশ্রয় নেওয়া কয়েকজনসহ আরও বেশ কয়েকজনের জন্য খাস জমিতে ঘর দেওয়ার জন্য তালিকা তৈরি করা হয়েছে। খাস জমিটি গৃহ নির্মাণের জন্য প্রস্তুতের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’